ওসমানীনগর(সিলেট)প্রতিনিধি ::

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট-২ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী তাহসিনা রুশদী লুনা।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী তিনি ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তাজপুর, উমরপুর, সাদিপুর, উসমানপুরও গোয়ালাবাজার এলাকার কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরসহ একাধিক পূজামণ্ডপে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন,
ধর্ম যার যার, উৎসব তার তার এই চেতনাই আমাদের রাজনীতির ভিত্তি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমি মনে করি, দুর্গাপূজা শুধু পূজা নয়, এটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক।

তিনি আরও বলেন,আমার স্বামী এম. ইলিয়াস আলী এই এলাকার উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল ছিলেন। আজও সেই মূল্যবোধ নিয়েই আমি আপনাদের পাশে আছি।

শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি সমাজের ঐক্য, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির অমোঘ বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা।মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি পূজার আয়োজন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভক্তদের অংশগ্রহণ নিয়ে আয়োজকদের সাথে আলোচনা করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

স্থানীয় আয়োজকরা বলেন,একজন জাতীয় পর্যায়ের নেত্রী আমাদের উৎসবে এসে উৎসাহ দিয়েছেন, এটি আমাদের জন্য বড় সম্মান। তাহসিনা লুনার মতো নেতৃত্বের পাশে আমরা আছি।

তাহসিনা রুশদী লুনা ২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর স্ত্রী হিসেবে শুধু একজন সাহসী নারীই নন, বরং রাজনীতিতে একটি মানবিক ও বিশ্বাসযোগ্য মুখ হিসেবেও পরিচিত।

মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তাহসিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ,জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল জিলু,উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ, আব্দুল জমির, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: কবির আহমদ। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা।

পূজামণ্ডপে তাকে স্বাগত জানান স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটি, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।