মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ পুলিশের ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ দেখে অশ্রুসিক্ত দর্শকরা
বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার প্রযোজনায় ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের নৃশংস হত্যাকান্ডের উপর ইতিহাস-আশ্রয়ী গবেষনালব্ধ মঞ্চ নাটক “অভিশপ্ত আগস্ট” নাটকটিচ দেখে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ উপস্থিত ঠাকুরগাঁওয়ের দর্শকরা অশ্রুসিক্ত হয়েছেন।
নাটকটির পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্য সংকলন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বিপিএম ও পিপিএম (বার) হাবিবুর রহমান। রচনা ও নিদের্শনা করেন নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান।
সোমবার (০৬ জুন) ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে রাত ৮ টায় মঞ্চস্থ করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার মঞ্চস্থ করা এই নাটকটি দেখে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ উপস্থিত দর্শকরা অশ্রুসিক্ত হন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম বর্বরতায় স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে। সেই হত্যাকান্ডের করুণ আলেখ্য এবং পূর্বাপর ঘটনা তুলে ধরা হয় “অভিশপ্ত আগস্ট” নাটকটিতে। নাটকটিতে বিশেষ করে ইতিহাসের খলনায়ক খোন্দকার মোশতাকের সাথে ঘাতকচক্রের সদস্য মেজর ফারুক, মেজর রশীদসহ পর্দার আড়ালে থাকা মাষ্টার প্লানারকারী ষড়যন্ত্রের বীজ বুনন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও ক্ষমতা দখলের নীলনকশা তৈরী এবং সেই ষড়যন্ত্রে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির গোপন পৃষ্ঠপোষকতা উঠে এসেছে। সেই সাথে উঠে এসেছে আর দশটা সাধারণ দিনের মতই হত্যাকান্ডের পূর্ব পর্যন্ত ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের কর্মব্যস্ততার চিত্র যেটা দেখে বোঝারই উপায় ছিলনা কিছুক্ষণ পরেই বাঙ্গালী জাতির প্রেরণার উৎস বাড়িটি হয়ে উঠবে বিভৎস এক মৃত্যুপুরী।
মঞ্চ নাটক “অভিশপ্ত আগস্ট” মঞ্চস্থ হওয়ার সময় অতিথি ও দর্শকরা যেন বাস্তবে ফিরে গিয়েছিল সেই ভয়াল কালোরাত ১৫ আগষ্টে।