1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের শুভ সূচনা  - Barta24TV.com
সকাল ৬:৫৮, সোমবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের শুভ সূচনা 

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
  • 207 Time View

স্পোর্টস ডেস্কঃ

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আবার সেই শ্রীলঙ্কার হাত ধরেই সুপার ফোরে উঠেছে তারা। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে সেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হাত ধরেই সুপার ফোরে উঠেছে তারা। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে সেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ। সইফ হাসান এবং তৌহিদ হৃদয়ের অর্ধশতরানের সৌজন্যে ৪ উইকেটে জিতল তারা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৬৮ তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই রান ৬ উইকেট হারিয়েই তুলে নিল বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দিকে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। ৪ বলে ১ রান দরকার, এমন অবস্থায় দু’টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম বলে আসে জয়। সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছে বাংলাদেশ।

আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা খারাপ হয়নি। প্রথম ওভার থেকেই তাদের দুই ওপেনারকে ছন্দে দেখা গিয়েছে। তৃতীয় ওভারে শোরিফুল ইসলামকে পর পর তিনটি চার মারেন পাথুম নিসঙ্ক। পঞ্চম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে নিসঙ্ক ফিরতেই শ্রীলঙ্কার রানের গতি অনেকটা কমে যায়। কুশল মেন্ডিস (৩৪) এবং কামিল মিশারাও (৫) বেশি ক্ষণ ক্রিজ়‌ে টিকতে পারেননি।

দাসুন শনাকাকে উপরে উঠিয়ে আনায় লাভ হয় শ্রীলঙ্কার। তিনিই চালিয়ে খেলে দলের যাবতীয় রান করছিলেন। ১৭তম ওভারে শনাকার ক্যাচ ফেলে দেয় বাংলাদেশ। পরের ওভারে পড়ে চরিত আসালঙ্কর ক্যাচ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৮তম ওভারে শোরিফুলকে পর পর দু’টি ছয় মারেন শনাকা।

১৯তম ওভারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেই ওভারে তিনটি উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। প্রথমে আসালঙ্ক রান আউট হয়ে যান। এর পর কামিন্দু মেন্ডিস এবং ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গও ফিরে যান। শেষ ওভারে শনাকা যদি তাসকিনকে একটি ছয় এবং একটি চার না মারতেন তা হলে শ্রীলঙ্কার রান আরও কম হত।

জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার তানজ়িদ হাসানকে (০)। তবে চাপে পড়েনি। সইফ এবং লিটন চালিয়ে খেলতে থাকেন। ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে দু’জনের ৫০ রানে জুটি তৈরি হয়ে যায়। আগের ম্যাচগুলিতে শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে যে তীক্ষ্ণতা দেখা গিয়েছিল, এ দিন ছিল না। বাবার শেষকৃত্য সেরে দেশ থেকে ফিরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন দুনিত ওয়েলালাগে। প্রথম একাদশেও ছিলেন। তবে ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান দিলেও একটিও উইকেট পাননি।

লিটন ফেরার পরেও রান তোলার গতি কমেনি বাংলাদেশের। সইফ এবং তৌহিদ মিলে রান রেট আয়ত্তের মধ্যেই রেখেছিলেন। ১৪তম ওভারে সইফ (৬১) ফেরার পর তৌহিদই দলকে টানতে থাকেন। ১৮তম ওভারে ফিরে যান তৌহিদ (৫৮)।

শেষ ওভারে জিততে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫ রান। প্রথম বলেই শনাকাকে চার মারেন জাকের আলি। পরের বলেই তিনি আউট হন। তৃতীয় বলে মেহেদি হাসান রান করতে পারেননি। চতুর্থ বলে তিনিও ফিরে যান। বাংলাদেশকে জেতানোর দায়িত্ব তখন নাসুমের কাঁধে। শনাকার বল গালিতে ঠেলে দিয়ে দৌড়েছিলেন নাসুম। শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারের সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভেঙে দিলে আরও একটি আউট হতে পারত। তা হয়নি।ফলে অপর পাশ থেকে শামীম পাটোয়ারীর দৌড়ে এক রান নিয়ে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category