মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও শহরে ফ্রেন্ডস্ এ্যাপোলো হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে ৭ম শ্রেনীর এক নাবালিকার গর্ভপাত করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই নাবালিকার স্বজনদের চাপেঁ ক্লিনিক কতৃপক্ষ মেয়েটিকে ও তার অভিভাবকে ঘাড় ধরে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে ও মেয়েটির অবস্থা আশংঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মেয়েটি হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতারেচ্ছে।
সরেজমিনে ও মেয়েটির বক্তব্য মতে, নাবালিকা মেয়েটির বাসা সদরের ভেলাজান মোলানী এলাকায়। সেই এলাকার এক ছেলের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পরে মেয়েটি ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে যায়। পরে বিষয়টি ছেলেটা জানার পরে ছেলের মা ও এক ধাত্রিকে মেয়েটিকে নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে শহরে গর্ভপাত করানোর জন্য আসে। এ খবর মেয়ের বাবা পাওয়ার পরে মেয়েটিকে শহরে খুজতে চলে আসে। অনেক খোজার পরে না পাওয়ায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
বুধবার মেয়েটিকে পাওয়া যায় ফ্রেন্ডস এ্যাপোলো হাসপাতাল নামের ক্লিনিকে। মেয়েটির অভিভাবক কে না জানিয়ে গর্ভপাতের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাচ্ছিল ক্লিনিক কতৃপক্ষ। পরে মেয়ের বাবা আপত্তি জানালে ক্লিনিকের লোকজন অসুস্থ মেয়েকে এবং তার অভিভাবকে ঘাড় ধরে বের করে দেন। পরে মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে দ্রæত তাকে নিয়ে গিয়ে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেয়েটি বলেন, আমাকে ভুল ভাল বুঝিয়ে ছেলের মা গর্ভপাত করানোর জন্য নিয়ে আসে। পরে আমাকে ক্লিনিকে সেলাইন দিলে আমার পেটের ব্যাথা শুরু হয়। পরে আমার পরিবারের লোক আসলে ক্লিনিকের লোক ভয়ে আমাদেরকে ক্লিনিকি থেকে বের করে দেয়। ফ্রেন্ডস্ এ্যাপোলো হাসপাতালের মালিক বাবুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শোনার পরেই মেয়েটিকে ও অভিভাবককে বের করে দিতে বলেছি ক্লিনিক থেকে।