মোঃ আশরাফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে এই মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন। বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান (রানা), তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা)। বাকি ছয় খালাসপ্রাপ্ত হলেন সানোয়ার হোসেন (সানু), নূরু, বাবু, ফরিদ হোসেন, মাসুদুর রহমান ও আলমগীর হোসেন। মামলা চলাকালে দুই আসামি আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মো. সমীর কারাগারে মারা যায়।
রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে সহিদুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা আসামি বাবু ও নূরু হাজির হন।রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান বলেন, দণ্ডিত দুজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের ব্যাপারে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।