ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধিঃ শাহ মনির হোসেন আজ ৩রা নভেম্বর, রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ধর্মপাশা উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে আজ সেই ভয়াল ৩রা নভেম্বর। শোকাবহ জেল হত্যা দিবস ও দোয়া মাহফিল আয়োজনে করেন সভাপতিত্বে করলেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী,ও সঞ্চালনে করেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সফল বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব শামীম আহমেদ বিলকিস এতে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশনা সম্পাদক জনাব দিলিপ মুজমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বাবু মনিন্দ্র তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মুজিবুর রহমান, এতে বক্তব্য রাখেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব শামীম আহমেদ বিলকিস সাংবাদিক দের বলেন আমি দুর্দিনে দলে পাশে থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে রাজনৈতিক এসেছি, তাই এর্ত উপজেলা র সফল বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক হিসিবে আছি, কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে যারা ত্যাগী রাজনৈতিক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন তাদের কে বাদ দিয়ে, কি (৩) নম্বর সহ সভাপতি ও (৩) নম্বর সাধারণ সম্পাদক কে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে নর্ব কমিটি অনুমোদন কি দেওয়া যায় ? পরে চার নেতা র প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বক্তব্য শেষ করলেন। আজকের আয়োজনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিক দের ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী দের বলেন, যে আমি দলের সম্মান কে নিয়ে দলের দু–দু বার সফল চেয়ারম্যান ছিলাম,কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনয়ন পেয়ে ও আমি আমার দলের কিছু মোস্তাক বাহিনী আছে তারা আমার বিদ্রোহী প্রার্থী কে নিয়ে নির্বাচন করার ফলে আমি পরাজিত হয়। সবার মূল বক্তব্য ছিল, এই ৩রা নভেম্বর শহিদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন ও তোলে ধরেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম দেশটিকে পরাজিত শক্তিরা তাদের কবজায় নেওয়ার জন্য ইতিহাসের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ১৯৭৫ সালে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৫ আগস্ট ভোরে। এর আড়াই মাস পর ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এতে আরো উপস্থিত দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।