বার্তা ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। সম্প্রতি আবেদনকারীদের ৯৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দিয়েছে দেশটির সরকার। মূলত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপরাধপ্রবণতা কম থাকায় এই সংখ্যা বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়ার হোম হোম অ্যাফেয়ার্স প্রতিবেদনে দেখা গেছে ভিসা রেশিও বৃদ্ধির পাশাপাশি আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।
বিগত তিন মাসের ভিসা প্রদানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গড়ে ৯৮.১৭ শতাংশ আবেদনকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে মে মাসে ৯৮ শতাংশ, জুন মাসে ৯৯.৩০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে ভিসা পেয়েছেন ৯৭.২০ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ভিসা গ্রহণের গড় হার ছিল ৯৬.৬৭ শতাংশ। আর আগস্ট মাসের প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ভিসা গ্রহণ হারের তালিকায় পার্শ্ববর্তী দেশ চীন ও ভারতকে ছাড়িয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। জানুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা গ্রহণের হার ৮৩.২৯ শতাংশ এবং চীনের শিক্ষার্থীদের ভিসা গ্রহণের হার ৯৩.০৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে প্যাক এশিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরামর্শক প্রদীপ রায় বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রেশিও সর্বোচ্চ। গত জানুয়ারি মাসে ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী দেশটির ভিসা পেয়েছে। দেশটিতে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক মান ভালো হওয়া এবং অপরাধপ্রবণতা কম হওয়ায় ভিসা রেশিও বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
ভিসা রেশিও বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শিক্ষার্থী সংখ্যাও বাড়ছে। এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশটিতে গিয়েছেন অন্তত ৭ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। অস্ট্রেলিয়ায়র হোম হোম অ্যাফেয়ার্স প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির ভিসা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থী, আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র চার হাজার ৪৬ জন।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে ২০২৬ সালের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত আসন সংখ্যা ৯ শতাংশ বাড়িয়ে ২ লাখ ৯৫ হাজার করার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে বলা হয়, দেশটিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আবেদনকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। গত বছর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও আবাসনের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার।