1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
বামনায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষক বরখাস্ত - Barta24TV.com
বিকাল ৩:০২, সোমবার, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বামনায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষক বরখাস্ত

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, আগস্ট ৯, ২০২২
  • 184 Time View

মোঃ সরোয়ার, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি

বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের শেরে বাংলা সমবায় বিদ‍্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণীর এক তরুনীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত শিক্ষকের নাম মোঃ হানিফ। তিনি ঐ বিদ‍্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক। এব‍্যাপারে প্রধান শিক্ষক কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ।

গত ১৯ জুলাই রামনা শেরে বাংলা সমবায় মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে। পরে ৩০ হাজার টাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রফাদফা করা হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বামনা উপজেলার শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হানিফ প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ওই স্কুলের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।

গত মঙ্গলবার ১৯ তারিখ সন্ধায় শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে স্থানীয় আজিজ সহ এলাকাবাসী জানান, স্কুলে প্রাইভেট পড়ার নামে এসব নোংরামী কিছুতেই সয্য করা যায় না । এই স্কুলের সুনাম আছে। তা ধরে রাখার দ্বায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এই সহকারী শিক্ষক হানিফের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছে। আমরা এরকম অসভ্য শিক্ষক থেকে বাচঁতে চাই।

তারা আরও জানান, অভিযুক্তকারী শিক্ষক হানিফ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার ও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে মিমাংসার জন্য দেন। সে টাকা থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর বাবাকে দেওয়া হয়। আর বাকী টাকা চেয়ারম্যনের পকেটে।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমরা গরিব মানুষ। যা হবার হয়েছে। আমরা কিইবা করতে পারবো। আমরা কোথাও এর সুষ্ঠু বিচার পাবো না। তাই বেশি কিছু বলতে চাই না। আপনারা আমাদেরকে মাফ করুন। আমি এসব বিষয় আর কিছুই বলতে পারবো না।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, রামনা শেরই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মাঞ্জুরুল আলম হানিফ এর কাছে প্রাইভেট পড়ত তার ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে। গত দুই মাস ধরে আর্থিক সমস্যার কারণে পাওনা টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে ওই শিক্ষক গত ১৬ জুলাই তার মেয়েকে আলাদা রুমে ডেকে শ্লীলতাহানি ঘটায়।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারকে জানানো হলে তিনি ওই শিক্ষকসহ তাদের ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। পরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নেন। এ ছাড়া তার স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) এর কাছে ৩০ হাজার টাকাও দেন তিনি। তবে অদ্যবধি সে টাকা তার হাতে পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার এবং শিক্ষক মঞ্জুরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

রামনা শের-ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসাইন বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি আমরা লোক মুখে শুনেছি। পরে ওই শিক্ষককে আপাতত ৭ম শ্রেণির পাঠদান থেকে বিরত রেখেছি।

অভিযুক্তকারী শিক্ষক মোঃ হানিফ এসব বিষয় অন্বীকার করে জানান, গত বছর আমি তাকে প্রাইভেট পড়িয়েছি। এবছর তাকে পড়াই নাই আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিওিহীন। তিনি আরও জানান, আপনারা যদি এসব বিষয় প্রমান করতে পারেন। তাহলে যেই শাস্তি হবে আমি তা মাথা পেতে নিবো।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জনিনা। কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয় নাই।

স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ বার্তার প্রতিনিধির কাছে অস্বীকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম জানান, এব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।