রাজশাহী ব্যুরো ও পুঠিয়া প্রতিনিধি রাকিবুল : শংক আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জায় সাজানো হয়েছে প্রতিটি মণ্ডপের মুলফটক। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এই উৎসব ঘিরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ৫৪ টি পূজামণ্ডপের নান্দনিক কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শনার্থীরা। গত শনিবার মহাষষ্ঠী’র মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠিকতা শুরু হয়ে, দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব। এবার পূজা- অর্চনার পাশাপাশি দর্শনার্থীর জন্য নতুন কিছু আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় সকল স্থানে প্রতিমা নির্মাণের মাধ্যমে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধ কাহিনির চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে পূজা উপলক্ষে রবিবার (২২ অক্টোবর) বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জি,এম হিরা বাচ্চু।
পুঠিয়ার রাজবাড়ী বাজার,পীরগাছা, কৃষ্টপুর, ঝলমলিয়া, শিলমাড়িয়া, পচামারিয়া, বানেশ্বর, বেলপুকুর সহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে পরিদর্শন করেছে চেয়ারম্যান জি,এম বাচ্চু। পূজামণ্ডপের নান্দনিক সাজ আর দৃষ্টিনন্দন বাহারি আলোক সজ্জা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ পুঠিয়া কমিটির সভাপতি, স্বপন নিয়োগী, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল, ইউপি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
এসময় তারা প্রশংসা করে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার পূজামণ্ডপ গুলোতে বাঁশ, কাপড়, শোলা দিয়ে নিপুণ ভাবে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা। পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, যা বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরেই আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সকলকে আগামী দিনেও দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে চলমান অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে পাশে থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান ।
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শ ও সহযোগিতার আলোকে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান, পুঠিয়া হিন্দু কল্যাণ ও সংস্কার সমিতির সাধারন সম্পাদক, পল্লব কুমার সেন গুপ্ত ও সভাপতি, চঞ্চল চৌধুরী।