দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহী দুর্গাপুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেক আসামি করা হয়েছে। দুর্গাপুর থানার এসআই ইব্রাহিম খলিল বাদি হয়ে গত ২১ জুলাই থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় ৮ দিনে শালঘড়িয়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিলহাজ, তিওরকুড়ি গ্রামের জিয়াউর রহমান, সিংগা এলাকার বিএনপি নেতা মোক্তাদির রহমান মন্টু, পারিলা গ্রামের বিএনপি নেতা খোরশেদ মাস্টারসহ আরও অনেকেই গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশ।মামলার অভিযোগে প্রকাশ, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উত্তর পার্শ্বে ফাকা মাঠে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জামায়াত এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চলমান মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল কোটা। পদ্ধতি সংস্কার সংক্রান্তে আন্দোলন কর্মসূচী সফল ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার মাধ্যমে এলাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সরকারী স্থাপনায় অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছেন এমন অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়।এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফারুক ইমাম সুমন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরমান কবির সুজন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইমন আহমেদ সুমন ও সদস্য সচিব আব্দুস সবুর বুলেটসহ অধিকাংশই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অনেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার অভিযানও চলছে। ফলে গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের অধিকাংশই আত্মগোপনে রয়েছেন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাক আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, ঘরে ঘরে তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জানতে দুর্গাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।