লালমনিরহাট থেকে,মোঃ পেয়ারুল ইসলামঃ
তীব্র কন-কনে শীতে কাপতেছে লালমনিরহাট বাসি। ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে বেশি কষ্টে পড়েছে লালমনিরহাটের চর অঞ্চলের মানুষজন। সকাল ১ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি আমাদেরকে জানিয়েছেন,আবহাওয়া অফিস। চলতি শীতের মৌসুমে সবচেয়ে নিম্ন তাপমাত্রা আজ। বেলা ১২টা পার হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের।কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াত করছে। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ জন । জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রার পার’দ।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকেই পরিবারের আয়-রোজগারের কথা ভেবে শীতের তীব্রতাকে অপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে দেরিতে হলেও কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের আবু তৈয়ব মিয়া বলেন(৫৫) বলেন, ঠান্ডায় আমার ও আমার পরিবারের ছোট্ট শিশুদের অবস্থা খুব খারাপ। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। রাতে ঘর থেকে বাহির হওয়ার যায় না এতো কুয়াশা।
লালমিনরহাট সদরের তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি । হাত পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে এবং ফলস ও নষ্ট হচ্ছে।, চাষাবাদের কাজ করতে হয় আমাদের পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।আবহওয়া অফিস থেকে যানা যায় আগামীতে আরো তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় সরকারের দৃষ্টিপাত দরকার ও বিভিন্ন সংগঠন এর।
অন্যদিকে, লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।