কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নারীকে মারধর ও কান ধরিয়ে ওঠবসের ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মছিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলায় গ্রেপ্তার মো. ফারুকুল ইসলামকে প্রধান করে ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী আরোহী ইসলামসহ আরও সাতজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ঘুরতে যান। এ সময় প্রধান আসামি ফারুকুল ইসলাম নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দেন। পরে হিজড়াদের পথরোধ করে বিচ এলাকায় অপকর্ম ও মানুষকে হয়রানির অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে ফারুকুল ও নয়ন লাঠি দিয়ে হিজড়াদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও উল্লেখ করা হয়। পরে কান ধরিয়ে ওঠবস করায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ জানান, প্রধান আসামি ফারুকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সমুদ্রসৈকতে নারীদের মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফারুকুলকে শুক্রবার রাতে আটক করে।আটক যুবক মো. ফারুকুল ইসলাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার আবদুল মাজেদের ছেলে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে রাতে এক নারীকে কিছু যুবক ঘিরে ধরে কান ধরিয়ে ওঠবস করাচ্ছে। এ সময় লাঠি হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আটক যুবক মো. ফারুকুল ইসলাম।
এ সময় ফারুক ওই নারীকে শাসাতে শোনা যায়। নারীকে ঘিরে থাকা উপস্থিত অনেকেই এই দৃশ্য মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। কান ধরে ওঠবস করতে ওই নারী অপারগতা জানালে তাকে অভিযুক্ত যুবক ফারুকুল লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
সুএঃ দৈনিক অভিযোগ বার্তা