দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনে নিয়োগ বোর্ড কতৃক ৪র্থ-শ্রেণির ৪টি পদে নিয়োগ দেওয়ায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের হাজী কনুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাফিজ আলী, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হাফিজ আমিন উদ্দিন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে গত ২৫/০১/২০২৩ইং এ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
ঘুষ কেলেংকারীদের বিরুদ্ধে গত ৩১/০১/২০২৩ইং লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত নিয়োগ বোর্ড অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে জানাজানি হলে অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ বাতিল করলে ও অন্য আরও ৩টি পদ বহাল রাখায়, উক্ত ঘুষ ও অর্থ লেনদেনের নিয়োগটি বাতিল চেয়ে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দানের জন্য বিভিন্ন পদের কয়েকজন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী এমেলী জেসমিন রিতা বলেন, আমি পরিক্ষায় প্রতিটা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও আমাকে নিয়োগ দেয়নি। পরিক্ষা নেয়ার আগেই আমাকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক থেকে বলা হয়েছে চাকরি পেতে হলে ৪লাখ টাকা দিতে হবে তা না হলে চাকরি পাবা না। যে টাকা দিবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমার বাসা বিদ্যালয়ের পাশে হলেও ১০ কিঃ মিঃ দুর থেকে এনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে হাজী কনুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাফিজ আলী বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা স্বচ্ছ প্রকৃয়ায় হয়েছে। কোন প্রকার ঘুষ ও আর্থিক লেনদেন হয়নি। অভিযোগ ভূয়া ও মিথ্যা। বিদ্যালয়ের সভাপতি হাফিজ আমিন উদ্দিন বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা শত ভাগ ফেয়ারও স্বচ্ছ হয়েছে। যারা কৃতকার্য হয়নি বা সুযোগ পায়নি তারা অর্থ লেনদেনের কথা বলে বেড়াচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, নিয়োগ পরিক্ষায় কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি অর্থ লেনদেনের প্রশ্ন আসে না। যেহেতু আপনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য তাই আপনাকে দিয়ে অভিযোগের তদন্ত কতটুকু সচ্চ হবে বলে আপনি মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সেটা এই মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না।