1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
এক নারীকে স্ত্রী হিসাবে দাবী দুই পুরুষের দাবী অবশেষে তিনজনকেই জেলে প্রেরন। - Barta24TV.com
সকাল ৯:১১, রবিবার, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক নারীকে স্ত্রী হিসাবে দাবী দুই পুরুষের দাবী অবশেষে তিনজনকেই জেলে প্রেরন।

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
  • 200 Time View

­যশোর প্রতিনিধিঃ

কমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারীকে নিয়ে টানাটানি করছেন চল্লিশোর্ধ্ব দুই ব্যক্তি। তাঁরা দুজনই ওই নারীকে স্ত্রী দাবি করছেন। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। আর তাই দেখতে ভিড় জমে উৎসুক মানুষদের। খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনকেই নিয়ে যায় থানায়। সেখানে গিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। থানা চত্বরেই কয়েক দফা টানাটানি-হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনজনকেই ১৫১ ধারায় (নিরাপত্তা হেফাজত) আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই তিন ব্যক্তি হলেন— ফরিদপুরের কানাইপুরের এলাকার বিকাশ অধিকারী, ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডু ও একই এলাকার সীমা অধিকারী।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারী, যাঁর সঙ্গে সীমা অধিকারীর প্রায় ৬ বছরের সংসার। এই সংসারে তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। সীমা অধিকারী সম্প্রতি ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত সোমবার রাতে তাঁরা যশোরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিকাশ সেই হোটেলে এসে হাজির হন। এরপরই ত্রিমুখী টানাটানি গড়ায় থানা পর্যন্ত।

পলাশ কুন্ডু সাংবাদিকদের জানান, সীমার সঙ্গে তাঁর তিন বছরের সম্পর্ক। তাঁরা দুজনেই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং এখন একসঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু তাঁদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিকাশ। সীমা অধিকারী বলেন, বিকাশের সংসারে তিনি নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে বিকাশকে ছেড়ে পলাশকে বিয়ে করেছেন।

অন্যদিকে বিকাশ অধিকারীর অভিযোগ, সীমার পরকীয়ার কারণে তাঁদের সাজানো সংসার ভেঙে যাচ্ছে। সীমা শুধু বাড়ি ছাড়েননি, বরং পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও গয়নাও নিয়ে গেছেন। তিনি সীমাকে যেকোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চান।

এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল অভিযোগ বার্তা’কে বলেন, ‘৯৯৯’-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। পরে ১৫১ ধারায় তাঁদের আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।’

যশোর আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক রোকসানা খাতুন বলেন, ‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শান্তনু কুমার মণ্ডল তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category