মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ;
অনেক আশা নিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন, একমাত্র আদরের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে পাঠাবেন শ্বশুড়বাড়ী। তার এই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
ঠবকুরগাঁও জেলার বালবয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ বারঢালী মোড়ের পশ্চিমে শুকানী পাড়ার জসির উদ্দীনের ২য় পুত্র ছিলেন মঞ্জুর আলম।
আজ সকালে মরহুমের বাড়ীতে গিয়ে দেখতে পেলাম পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনের কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য। তাদের কান্নায় নিজেকে সান্তনা দিতে পারিনি চোখ দিয়ে অঝোরে ঝড়েছে পানি।
কতই বা বয়স হয়েছে, সবে মাত্র ৩৪ বছর পার করছে মঞ্জুর। জীবিকার তাগিদে ১০ বছর পূর্বে দুই স্বামী-স্ত্রী মিলে পাড়ি জমায় ঢাকায়। সেখানে একটি বেসরকারী গার্মেন্টসে চাকুরি করে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখছিল।
তার একমাত্র আদরের মেয়েকে নানার বাড়িতে রেখে পড়া-লেখা করাচ্ছিলেন। মেয়েকে বিয়ে দিবেন তাইতো তার বাড়ীতে আসা। গতকাল শনিবার (১৩/০৮/২০২২) সকালে ঢাকা থেকে দুই স্বামী-স্ত্রী মিলে নৈশ্য কোচে রংপুর মামার বাড়ী এসে উঠেছেন, মামা বাড়ীর আত্মীয়- স্বজনকে নিয়ে বাড়ী এসে মেয়েকে বিয়ে দিবেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস স্ত্রীকে রংপুর মামার বাড়ীতে রেখে সন্ধায় মোটর বাইক যোগে মেয়ের খোজ-খবর নেওয়ার জন্য ও বিয়ের যাবতীয় কাজ সম্পাদনের জন্য নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
কিন্তু কে জানে মঞ্জুর বাড়ী ফিরবে লাশ হয়ে। বাড়ীর কাছাকাছি এসে তাকে জীবন দিতে হলো দিনাজপুরের ১৩ মাইর গড়েয়া নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”।
আগামীকাল তার মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা হয়তো বিয়ে হবে কিন্তু মঞ্জুর তার আদরের মেয়েকে নিজ হাতে জামাইয়ের কাছে তুলে দিতে পারলেন না।
মহান আল্লাহ তাকে পরপারে ভাল রাখুক, জান্নান নসিব করুক (আমিন)। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ছাড়া আমার দেওয়ার মত কিছুই নেই।
পরপারে আল্লাহ তাকে ভাল রাখিও। আমাদের করার কিছুই নেই, আমাদের সড়ক ব্যবস্থা এতটা খারাপ যে প্রতিদিন শতশত তাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।