1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
সেরাদের সেরা আমাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনা -ইকবাল আহমেদ লিটন - Barta24TV.com
রাত ৪:০৫, শনিবার, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেরাদের সেরা আমাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনা -ইকবাল আহমেদ লিটন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, জুলাই ১১, ২০২২
  • 353 Time View

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অফুরাণ ভালবাসা জানাই। তার মতো বিচক্ষন নেত্রী আমরা পেয়েছি বলে মহান আল্লাহর নিকট শত কোটি শুকরিয়া। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের দীর্ঘতম নারী নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক ‘অলাভজনক’ প্রচারমাধ্যম উইকিলিকস এই গবেষণা পরিচালনা করে। উইকিলিকসের এই গবেষণা নিয়ে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া। ইউকিলিকস তাদের জরিপে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বর্তমান সময়ের নারীদের পুনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিশ্বজুড়ে নারী নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে ছিলেন, ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার ও চন্দ্রিকা কুমাতুরাঙ্গা। এরা প্রত্যেকে নিজ দেশে দীর্ঘ সময় ধরে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। এদের সবাইকে পেছনে ফেলে সবার উপরে নামটি লিখিয়ে নিয়েছেন আমাদের দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘসময় নারী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ছিলেন সেইন্ট লুসিয়ার গভর্নর জেনারেল ডিম পিয়ারলেত্তে লুজি। তিনি ১৯৯৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি দেশ শাসন করলেও বিশ্বরাজনীতিতে তেমন পরিচিত নন তিনি।

দ্বিতীয় দীর্ঘতম নারী রাষ্ট্রপ্রধান হলেন, আমার বর্তমান দেশ যেখানে আমি স্থায়ী সিটিজেন আয়ারল্যান্ডের ভিগডিস ফিনবোগাদোত্তির। তিনি ১৯৮০ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও টানা ১৬ বছর রাষ্ট্রপ্রধান থেকেও আন্তর্জাতিক ঘরানায় সুপরিচিত নন। তৃতীয় দীর্ঘতম নারী রাষ্ট্রপ্রধান হলেন, ডমিনিকার ডেম উজেনিন। ১৪ বছরের বেশি তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। পঞ্চম দীর্ঘতম নারী রাষ্ট্রপ্রধান আমার বর্তমান দেশ আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ম্যারি ম্যাকেলিস, ক্ষমতায় ছিলেন ১৩ বছর ৩৬৪ দিন। আর বর্তমান বিশ্বের অন্যতম নারী রাষ্ট্রপ্রধান জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলো মার্কেল। ২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর দেশের ক্ষমতাভার গ্রহণ করে এখনো জার্মানি শাসন করছেন তিনি। অন্যদিকে আমাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনাও টানা তৃতীয়বারসহ মোট চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রথমবার আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তিনি শাসন করেন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। মাঝখানে এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় আসে তার দল। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ক্ষমতায় আছেন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তার দল আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।

ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৫ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। চতুর্থ মেয়াদের এক বছর পার না হলেও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের রেকর্ডকে অতিক্রম করা একমাত্র নারী নেত্রী শেখ হাসিনা। আর থ্যাচার ৪ মে, ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ বছর ২০৮ দিন ব্রিটেনের শাসক ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীও বিভিন্ন মেয়াদে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছে। শ্রীলঙ্কা চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেব সর্বমোট ১১ বছর ৭ দিন শাসন করেছেন। নারী শাসকগণের মধ্যে মাত্র চারজন শাসকই বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেদের নাম ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। তারা হলেন- ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও শেখ হাসিনা। তারা সবাই নিজের দেশকে একটি নতুন সম্ভবনার দুয়ারে নিয়ে গেছেন। চতুর্থবার ক্ষমতায় আরোহনের পর শেখ হাসিনা বিশ্বে সুপরিচিত অন্যান্য নারী নেতাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিক্রম করে গেছেন। গেল কয়েক বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক- অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে। মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০০ ডলারে, যা কয়েকবছর আগেও ছিল হাজার ডলারের নিচে। দেশরত্নের জন্যই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। ২০১৮ সালে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করছে। যেটি আমাদের সরকারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কারণে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ডিজিটাল প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বর্তমান বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের উদহারণ হিসেবে সারা বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে। বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও সেবার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বহু পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।

-লেখকঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়ারল্যান্ড শাখার সভাপতি, ইকবাল আহমেদ লিটন

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়