কোথা হতে তুই আসলিরে জল স্রুত,ডেউয়ে খেলে.. তুই আসিয়া স্বার্থক করিয়াছো তাই সারী নদী লোকে বলে। করিয়াছো মুগ্ধ তোমার রূপে মানব কাঙ্গালিদের মন কতোয় না দেখিতেছে খাব কতোয় ভাবিতেছে কি আপন। কতোকে দিতেছো করি,সিকি কতোর দানা তনে…. কি রূপ তোমার দেখাইয়াছো মোরে রঙের দাগ লাগিয়াছে মোর মনে। তোমার ভুকে চলিতেছে নানান রঙ-বেরঙের রথ…. তোমার পিঠে ভর করিয়া তৈরি করিতেছে গরিব-গরবয়ের পথ। দেখাইয়াছো জল স্রুতের ঊর্মিমালা ভুজিতেছে ব্যবহার করে তরী, কেউ চাইতেছে নেত্র খুলিয়া কেউ করিতেছে আহাজারি।। বসিয়াছিলাম তোমার পাড়ে ভাবছিলাম তর কথা,, হাহাকার করছিলে তুমি মনে লাগিয়াছিল আমার ব্যথা।। দিন-রাত কেটে নিতেছে তাহারা গড়িতেছে ভিত্তের পাহাড়,, দীন-দরিদ্ররা তোমার সম্বলে মেটাচ্ছে তাহাদের আহার।। পাতাইয়াছে তর ভুকে যন্ত্রমানব শেষ সম্বল নিতেছে কারি,, তোকে ধ্বংশ করিয়া অনেকে করিতেছে বাড়ি-গাড়ি।।। তবুও দিতেছো চাইবার আগে ভোর,দুপুর,দিবস-রাইতে,, দিতে দিতে নিস্ব হইবা এক দিন তবুও আশ করিবে পাইতে।। বর্ষার ঐরূপ দেখাও তাহারে যেটা মনে জাগায় তাদের ভয়,, করিবে না ধ্বংশ তোমার জীবন, সেবা করিবে তোমার নিশ্চয়।