ইয়াছিন আলী খান দোয়ারা বাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি। নারী উদ্যোক্তা জাহানারা বেগমের দৃষ্টি নন্দন পুস্প কাননে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লেগেই আছে। দূর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ প্রতিদিনই এখানে ছুটে আসছেন। কেউ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আবার কেউ আসছেন চারা কিনে নিতে। সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে আব্দুজ জহুর সেতু পাড়ি দিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় চলাচলের সড়কের পাশে লালপুর নামক এলাকায় গড়ে উঠেছে জাহানারা বেগমের পুস্প কানন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের সফল নারী উদ্যোক্তা জাহানারা বেগম। একজন নারী হয়ে তিনি কখনো হেরে যান নি। বিভিন্ন প্রজাতির ফল-ফুল ও ফুলের চারার নার্সারী গড়ে তুলেছেন তিনি। আর এর নাম দিয়েছেন পুস্প কানন। প্রায় ১.২০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে তার ফুল,ফল,ঔষধী গাছের বাগান ও নার্সারি। নার্সারি ও ফুল বাগান ঘুরতে প্রতিদিন এখানে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। কিনে নেন, নিজ নিজ পছন্দের চারা, সেই সাথে বিনোদনে ও মেতে উঠেন পর্যটকরা। বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান পুস্প কাননে এসে চারা ক্রয় করে থাকে। এক সময়ে দারিদ্র্যেতাকে সঙ্গে নিয়েই ছিলো জাহানারা বেগমের বসবাস। নিজের চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে কিছু টা এখন দারিদ্রতা দূর করতে সক্ষম হয়েছেন এ নারী উদ্যোক্তা। এলাকায় একজন ভালো নারী উদ্যোক্তা হিসাবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন, জাহানারা বেগম। তিনি তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন পুরস্কার ও ২০১০ সালে সফল নারী হিসাবে এলজিআরডি মন্ত্রীর হাত থেকে সম্মাননা ২০১৪ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে জয়িতা পুরস্কারও গ্রহণ করেন তিনি। জাহানারা বেগম বলেন বিগত ২০২২ সালের বন্যায় প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার। পরে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সফল ও হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভীড় ছিলো তার বাগানে। ফুল ও বিক্রি হয়েছে প্রচুর। তিনি বলেন মোটামুটি উন্নতির লক্ষণই দেখতেছি। তিনি কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে পুষ্প কানন নামের নার্সারী গড়ে তুলেছেন। এতে ব্যাপক সাড়া ও পেয়েছেন তিনি। জাহানারা বেগম জানান সরকারি সহায়তা পেলে দেশের একজন সেরা নারী উদ্যোক্তা হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। নারী উদ্যোক্তা জাহানারা বেগম বিশ্বম্ভপুর উপজেলার চালবন গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী। একই উপজেলার ভাদেরটেক গ্রামের মোঃ আব্দুল হক ও হাজেরা খাতুনের মেয়ে তিনি।