1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
সকলের প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী - Barta24TV.com
সকাল ৮:৪৬, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকলের প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, জুন ৯, ২০২২
  • 344 Time View

 মোঃ ইব্রাহিম ভোলা জেলা প্রতিনিধি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের অন্যতম। যার মুক্তির ডাকে বাঙালিরা ঝাপিয়ে পড়েছিল সশস্ত্র সংগ্রামে,যার দেখানাে পথ ধরে অন্ধকার থেকে বাঙালি আলাের পথে এসেছে। আমরা পেয়েছি এক স্বাধীন রাষ্ট্র। তিনিই জাতির জনক আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। । তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ-আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে আমাদের মহান স্বাধীনতা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। আমাদের এই স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রের স্থপতি। বংশ পরিচয়ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম যে পরিবারে তা শেখ পরিবার হিসেবেই সমগ্র অঞ্চলে পরিচিত ছিল। টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শেখ বােরহান উদ্দিন। তাঁর পূর্বপুরুষ শেখ আউয়াল ছিলেন শেখ মুজিবের অষ্টম পূর্বপুরুষ । জানা যায়, তিনি হযরত বায়েজিদ বােস্তামী (রা.) সঙ্গী বা শিষ্য হিসেবে ইরাক থেকে ভারতবর্ষে আসেন। তাঁর পুত্র শেখ জহীর উদ্দিন কলকাতায় সপরিবারে বসবাস করতেন। তিনি আড়তদারি ব্যবসায় করতেন বলে জানা যায় । শেখ জহীর উদ্দিনের পুত্র শেখ জান মাহমুদ। তাঁর পুত্র শেখ বােরহান উদ্দিন। শেখ বােরহান উদ্দিন ব্যবসায়ের কাজে এক সময় কলকাতা থেকে মধুমতি নদী তীরের গিমাডাঙা ও ঘােপেরডাঙায় আসেন এবং কলকাতায় আর ফিরে যাননি। তিনি টুঙ্গিপাড়ার কাজী পরিবারে বিয়ে করেন এবং টুঙ্গিপাড়াতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। শেখ বােরহান উদ্দিনের দৌহিত্র শেখ আবদুল হামিদ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দাদা । বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুত্যর রহমান এবং মায়ের নাম সায়রা বেগম। তারা ছিলেন চাচাতো ভাইবােন। শেখ লুৎফর রহমান পেশাগত জীবনে ছিলেন দেওয়ানী আদালতের একজন সেরেস্তাদার । জন্ম : ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে শেখমুজিব ছিলেন তৃতীয়। শিক্ষা জীবনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখাপড়া শুরু স্বগৃহে । অতঃপর ১৯২৭ সালে সাত বছর বয়সে গিমাডাঙা প্রাথমিকবিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্র জীবনের সূচনা হয়। তারপর গােপালগঞ্জে সীতানাথ একাডেমী এবং পরে পিতার কর্মস্থল মাদারীপুর এনে মাদারীপুর ইসলামিয়া হাই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। এ সময় মাত্র বারাে বছর বয়সে তিনি বেরিবেরি রােগে আক্রান্ত হন এবং তার চোখ প্রায় অন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চোখের অপারেশন হয় এবং এরপর প্রায় তিন বছর তার পড়ালেখা বন্ধ থাকে। এই সময় থেকেই তিনি চোখে চশমা পরতে শুরু করেন, যা অব্যাহত ছিল আজীবন । এ সময় তার গৃহশিক্ষক ছিলেন ব্রিটিশ বিরােধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আবদুল হামিদ মাস্টার। শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়ার পেছনে মাস্টার সাহেবের প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয় । চোখের অসুখে আক্রান্ত হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা জীবন প্রায় চার বছর ব্যাহত হয়। অতঃপর ১৯৩৭ সালে তিনি ভর্তি হন গােপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে এবং এখান থেকেই ১৯৪২ সালে তিনি এন্ট্রান্স (প্রবেশিকা) পরীক্ষা পাস করেন একটু বেশি বয়সে। স্কুলের ছাত্রাবস্থায়ই শেখ মুজিব বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে এবং বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন এবং একাধিকবার গ্রেপ্তার হন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুল পরিদর্শন করতে আসা সেকালের দুজন দেশ বিখ্যাত নেতা এবং মন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর পথ রােধ করে দাড়িয়ে সঙ্গীসহ শেখ মুজিবুর রহমান দাবি আদায়ে সক্ষম হন এবং প্রখ্যাত এই দুই নেতার নজর কাড়েন ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় দেশনেতা শেখ মুজিব । পরবর্তী শিক্ষাজীবন তিনি শুরু করেন কলকাতা মহানগরে। ১৯৪৭ সালে তিনি বিএ পাস করেন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কলেজ) থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং কারাবরণ করেন। ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ধর্মঘটকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করায় এবং জরিমানা দিতে অস্বীকার করায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেন। শেখ মুজিবের শিক্ষা জীবন এভাবেই অসমাপ্ত থেকে যায় । পরিবার: তিনি ১৯৩৮ সালে বেগম ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তাদের তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ।রাসেল এবং দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা রাজনীতি : ছাত্র জীবনেই তাঁর রাজনীতিতে হাতে খড়ি ঘটে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি অষ্টম শ্রেণিরছাত্র থাকাকালীন সময়ে প্রথমবারের মতাে জেলে যান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন। তিনি তাঁর স্নেহ, আনুকূল্য ও দিকনির্দেশনায় সক্রিয় রাজনীতিতে ক্রমান্বয়ে এগুতে থাকেন। কলকাতায় ছাত্রজীবনে তিনি নিখিলবঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগ’, ‘নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশন প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেলেই পূর্ববঙ্গের মানুষের ওপর পাকিস্তানি শাসকদের শােষণ ও শাসন চলতেথাকে। পূর্ববাংলাকে মুক্ত করাই তখন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রধান লক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনপড়ার সময় থেকেই পাকিস্তানি শাসকদের শােষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আরম্ভ করেন। ফলে ১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ পাকিস্তনি সরকার তাঁকে গ্রেফতার করেন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হলে তিনি যুগ্মসম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৫৪ সালে সাধারণ পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হলে নতুন প্রাদেশিক সরকার গঠিত হয়। তিনি ১৯৫৬ সালেপ্রাদেশিক সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category