1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
শেরপুরে অবৈধ জাল পোড়ানোর সময় অগ্নিদগ্ধ ৩ - Barta24TV.com
রাত ১২:৪৭, বুধবার, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে অবৈধ জাল পোড়ানোর সময় অগ্নিদগ্ধ ৩

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, জুলাই ২৬, ২০২২
  • 171 Time View

মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, বিশেষ প্রতিনিধি শেরপুর।

শেরপুরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ মাছ ধরার চায়না ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পোড়ানোর সময় সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৩ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশাঘাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন স্থানীয় মোঃ ইনসার আলীর ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী (৪০), মৃত ধুইলতা মিয়ার ছেলে মোঃ ছাউত মিয়া ও মোঃ শিয়ালু মিয়ার ছেলে মোঃ জবেদ আলী। তারা ৩ জনই বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় ও আহতদের স্বজনরা জানায়, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উজ্জল হোসেন, জেলা মৎস্য অফিসের সহকারী পরিচালক সুলতানা লায়লা তাসনীম ও সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মমতাজুন্নেছাসহ সংশ্লিষ্টরা শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্ট জালসহ ১০টি অবৈধ জাল জব্দ করেন। পরে সেগুলো ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশাঘাট এলাকায় জড়ো করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেন। ওইসময় স্থানীয় ইয়াকুব আলী, ছাউত মিয়া ও জবেদ আলী সেগুলো পুড়ানোর জন্য সহযোগিতা করতে পেট্রোল ও ডিজেল ঢালেন। তবে তারা নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার আগেই কেউ একজন জালে আগুন ধরিয়ে দিলে ওই ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাদের পাশর্^বর্তী নদীর পানিতে চুবিয়ে আগুন নিভিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এদিকে ওই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে থাকা কর্মকর্তাদের প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভাতশালা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার ও লছমনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাইসহ অতিরিক্ত পুলিশ স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল হক ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জল হোসেন জানান, নিয়ম অনুযায়ী জালগুলো জড়ো করে ব্যানার টানিয়ে ছবি ও ভিডিও করার প্রস্তুতির সময় আদালতের নির্দেশ ছাড়াই সেখানে পেট্রোল ঢেলে স্থানীয় একজন আগুন জ¦ালিয়ে দিলে সেই আগুনে ৩ জন সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা করানোরও আশ^াস দেওয়া হয়েছে। তবে মৎস্য অফিস বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কেউ আগুন দেয়নি। জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অমিয় জ্যোতি সাইফুল্লাহ জানান, আহতদের মধ্যে ২ জনের শরীরের প্রায় ১৫-১৮ ভাগ পুড়ে গেছে, আর অপরজনের ৫/৭ ভাগ পুড়েছে। তবে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, খবর পেয়ে সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্যদের উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।