সানজিদ মাহমুদ সুজন,
জেলা প্রতিনিধি,শরীয়তপুর।

এলিট ফোর্স র‌্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই সন্ত্রাস, চাঁদাবাদ, চোরাচালান ও মাদক এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র‌্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান দেশব্যাপী সমাদৃত। র‌্যাব-৮, মাদারীপুর গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে একজন মাদক ব্যবসায়ী সম্পর্কে তথ্য পায় এবং তাহাকে গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে তৎপরতা শুরু করে।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অদ্য ২৩ মে ২০২২ইং তারিখ বিকাল ১৮.২০ ঘটিকার সময় শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানাধীন বুড়ির হাট বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন ভেদরগঞ্জ হইতে মনোহর বাজার গামী পাঁকা সড়কের উপর মেসার্স ফারুক এন্টার প্রাইজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে আসামী জাহিদ হাসান মুন্সী (৪০), পিতা- মৃত হামজা মুন্সী, মাতা- মালেকা বেগম, সাং- মোস্তফাপুর (ওয়ার্ড নং-০২), থানা ও জেলা-মাদারীপুর‘কে বিপুল পরিমান গাঁজা ও ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক করে। এসময় আটককৃত আসামীর নিকট হতে ১৩ (তের) কেজি গাঁজা, ২,০৩০ (দুই হাজার ত্রিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ০১টি প্রাইভেট কার, মাদক ক্রয় বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল, ০৪টি সীমকার্ড এবং মাদক বিক্রয়লব্ধ নগদ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং সে দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম হতে চাঁদপুর ফেরিঘাট ব্যবহার করে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ধৃত আসামীকে উদ্ধারকৃত গাঁজা, ইয়াবা ও অন্যান্য আলামতসহ শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।