ফিরোজ মাহমুদ রংপুর।।
দীর্ঘ দিন পর এই প্রথম রংপুর চিড়িয়াখানায় জলহস্তীর বাচ্চা হয়েছে। জলহস্তী জল নূপুর বাচ্চা দেওয়ায় আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টায় জল নূপুর ৮ মাস গর্ভধারণের পর এ বাচ্চা প্রসব করেন। জলহস্তীর বাচ্চাটি বর্তমানে সুস্থ আছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯-৯০ সালে রংপুর চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি পুরুষ জলহস্তী ছিল। সেই বয়স্ক জলহস্তী মারা গেলে একটি নারী জলহস্তী নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী ২০২১ সালে আরও একটি পুরুষ জলহস্তী আনা হয়। এরপরেই দীর্ঘ ৩২ বছর পর বাচ্চা হলো ওই জলহস্তীর।
ফলে রংপুরবাসীও এই প্রথম দেখতে পেয়েছেন জলহস্তীর বাচ্চা।
রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে স্কুল শিক্ষার্থী সাবানা,শারমিন,ও ছিনথিয়া জানান, জলহস্তীর বাচ্চাকে দেখে খুবই ভালো লাগছে। চিড়িয়াখানা এসে এখন সার্থক মনে হচ্ছে। দর্শনার্থী তামিম মাহমুদ জানান, রংপুর চিড়িয়াখানায় এই প্রথম জলহস্তী বাচ্চা দিলো দেখেই ভালো লাগছে।
রংপুর চিড়িয়াখানায় জ্যু অফিসার এইচএম মেইল জানান, আমরা যখন বুঝতে পারলাম জলহস্তী জল নূপুরের পেটে বাচ্চা এসেছে তখন থেকে বিশেষ পরিচর্চা শুরু করে দেই। দীর্ঘ ৮ মাসের প্রতীক্ষার পর বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চার ওজন ২৫-৩০ কেজি হবে। বাচ্চা সুস্থ ও সবল আছে।
রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. আমবার আলী এবং ঠিকাদার মো. হজরত আলী জানান, জলহস্তীর পেটে বাচ্চা আসার পর থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিলাম আমরা। নিরাপদে বাচ্চা প্রসবের জন্য ইতিমধ্যে পুরুষ জলহস্তিকে আলাদা আবাসস্থলে নেওয়া হয়েছে। অনুকূল পরিবেশের কারণে রংপুর চিড়িয়াখানার সকল বন্য প্রাণী ও পাখিগুলো সুস্থ আছে এবং বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ধীরে ধীরে রংপুর চিড়িয়াখানা বন্য প্রাণীর একটি সংরক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।