মোঃ নুরনবী সরকার কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুরে মা কতৃক শিশু সন্তান হত্যা, লাশ গুমের চেষ্টা, অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর মিয়াপাড়া গ্রামের নুর আলম মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া (১০) গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে শুক্রবার এলাকায় মাইকিং করে। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে একই গ্রামের জনৈক মোঃ আকবর আলীর ধান ক্ষেত এর পশ্চিম পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধানের ক্ষেতের ভিতরে নিখোঁজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (১০) এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং মৃত ফরহাদ হোসেন এর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম বরাবর প্রেরণ করেন। এই সংক্রান্তে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। উলিপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব রুহুল আমিন এর চৌকস তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। পুলিশের তথ্য মতে জানা যায়, নিহত ফরহাদ (১০) গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি করায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে আঘাত করে, ফলে ভিকটিম আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। ঘাতক মা ফেরদৌসী বেগম বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার জন্য এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশকে একই গ্রামের আক্কাস আলীর ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে আসে। কিন্তু উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার চৌকস তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন হয় নির্মম সত্য। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রুহুল আমিন জানান, ছেলেকে হত্যায় ঘাতক মাকে আটক করা হয়েছে। সে নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। সোমবার বিকেলে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, আসামীকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা