1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
যেভাবে পারলেন ছুটে আসলেন ঠাকুরগাঁও পুরনো বিমানবন্দরে - Barta24TV.com
রাত ৯:৪২, বুধবার, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে পারলেন ছুটে আসলেন ঠাকুরগাঁও পুরনো বিমানবন্দরে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, জুলাই ১২, ২০২২
  • 250 Time View

মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ;
১২ জুলাই ২০২২,যে যেভাবে পারলেন ছুটে আসলেন ঠাকুরগাঁও পুরনো বিমানবন্দরে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিক্সা, অটো, ভটভটি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসযোগে এমনকি হেঁটেও ছোটবড় সব বয়সের মানুষ যে যেভাবে পারছেন ছুটে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে। দৃশ্যটি গতকাল সোমবারের (১১ জুলাই)। ঈদ উপলক্ষে এভাবেই মানুষের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল রানওয়েটি।

স্থানীয়রা জানান, জেলায় তেমন কোনো বড়সর বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় প্রতি ঈদে ঠাকুরগাঁওয়ের পরিত্যক্ত এই বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রাকৃতিক পরিবেশে একটু ঘুরতে ও বিনোদনের জন্য প্রতি ঈদে তারা। যদিও সেখানে বিনোদনের কিছুই নেই। তারপরেও ঈদের প্রথম দিন থেকে শুরু করে চতুর্থদিন পর্যন্ত মানুষের মিলন মেলায় পরিণত থাকে স্থানটি। ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেলে দেখা গেল বিমানবন্দরের ৩ কিলোমিটার রানওয়েজুড়ে অসংখ্য মানুষের সমাগম। প্রতিবার ঈদে এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হওয়ায় অস্থায়ীভাবে রানওয়ের ধারে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের দোকান। আছে নাগরদোলাও।

বিমানবন্দরটি ঠাকুরগাঁও শহর থেকে মাত্র প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ মহাসড়কের মাদারগঞ্জ শিবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এটি। বিমানবন্দরটি নির্মিত হয় ৫৫০ একর জমির ওপর ১৯৪০ সালে।
জানা যায়, তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করেছিলেন এই বিমানবন্দরটি। বন্দরটির প্রধান রানওয়ে ৩ কিলোমিটার। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এখানে হামলা করলে বিমানবন্দরটির রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর বাণিজ্যিক কাজ পরিচালনা করার জন্য বিমানবন্দরটি ১৯৭৭ সালে সংষ্কার করা হয়। সেসময় এই বন্দরে দীর্ঘদিন বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালিতও হয়। কিন্তু পরবর্তী ১৯৮০ সালে অজ্ঞাত কারণে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে পরিত্যক্ত ও উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এটি। রানওয়েটি এখন ব্যবহৃত হয় গোচরণ, ফসল শুকানোর চাতাল ও ঈদের সময় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছেন সুমন আলী।তিনি বলেন জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দরের মতো এতো খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশের আর তেমন একটা নেই। তাই এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। দেখছি প্রতিবারের ন্যায় এবারো এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছে। গৃহবধু সালমা আক্তার পপি স্বামী সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে এখানে পরিবারের সঙ্গে একটু ঘুরতে এসেছি। এখানকার খোলামেলা জায়গা দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের মতো অসংখ্য মানুষ এখানে এসেছেন ঘুরতে।’
স্থানীয় কুরবান আলী বলেন, ‘নির্বিঘ্নে এখানে মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতে ও ঘুরতে পারে। তাই প্রতিবার ঈদের সময় অনেক দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এতে কারও কোনোরকম সমস্যা হয় না। ঈদের দিন বিকেল থেকে এখানে মানুষের সমাগম ঘটে। আনন্দ ফুর্তি করে আবার সন্ধ্যার আগে নিজ নিজ ইচ্ছামতো চলে যায় সবাই।’
ঠাকুরগাঁও শহরের শাহপাড়া থেকে মো. আব্দুল ওয়াদুদ স্বজনদের নিয়ে এসেছেন ঘুরতে। ঈদে বিকেল বেলায় বিমানবন্দরে ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে। বিমানবন্দরটিকে যদি সরকার পুনরায় চালু করে দেয় তাহলে আমাদের ঠাকুরগাঁওবাসীর জন্য অনেক উপকার হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সুলতানা রাজিয়া গাইবান্ধা থেকে এসেছেন ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে ঘুরতে। তিনি বলেন, ‘আগে শুনেছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিমানবন্দর আছে কিন্তু সেটি অনেক দিন ধরে বন্ধ। এসে দেখলাম জায়গাটি অনেক সুন্দর। তবে সরকার যদি এটি চালু করে তাহলে শুধু আমাদের উত্তরবঙ্গের জন্য নয় অন্যান্য জায়গা থেকে এখানে মানুষও আসা যাওয়া করতে পারবে। ঠাকুরগাঁও জেলাকে মানুষ দেখতে পারবে। এ জেলায় অনেক কিছু দেখার আছে। বন্দরটি চালু হলে খুব ভালো হবে জনগণের জন্য। এটি চালু হলে আগামীতে বিমানে আসতে পারবো এখানে।’
ঈদে অধিক মানুষের সমাগমে এই বিমানবন্দর মেলায় পরিণত হয়েছে। এই মেলায় প্রশাসনিকভাবে কোনো অনুমতির প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে, জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন ঈদ উপলক্ষে জেলার কোথাও আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা হলে সেই মেলা করার জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু নদীর ধারে বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশে কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানে অনেক মানুষের সমাগম হলে এগুলোতে অনুমোদনের কোন প্রয়োজন হয় না। বিকালে মানুষ সেসব যায়গায় ঘুরতে যেতেই পারে। বিমানবন্দরটি চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুনরায় বিমানবন্দরটি চালুর জন্য আমি সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category