মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে ৩০০ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করিনি। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান আমাদের প্রথম লক্ষ্য। সংখ্যাগতভাবে আমাদের যে ইভিএম আছে তা ১১০ আসনে ভোটগ্রহণের সক্ষমতা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ইভিএমে আস্থা ফিরলে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মানিকগঞ্জে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২২ উদ্বোধন শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসা বা নির্বাচনে না নিয়ে আসা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কে নির্বাচনে আসলো বা না আসলো সেগুলো দেখবে সরকার রাজনৈতিক দলগুলো।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমে কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা শনাক্ত করতে জুন মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মূখে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। বিশেষজ্ঞ মতামতের পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যাবহার করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে ইভিএমগুলো আছে,আমরা যতটুকু দেখেছি তাতে কোন ত্রুটি আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। যে সমস্থ্য রাজনৈতিক দলগুলো এটার ত্রুটি আছে বলছেন আমরা চেষ্টা করছি এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের আগামী জুনের মধ্যে ঢাকায় এনে তারা ইভিএমগুলো পরীক্ষা করবেন। ইভিএম মেশিন পরীক্ষা যারা করবেন তাদের যেন সকল রাজনৈতিক দল বটে সকল সচেতন ব্যক্তিরা তাদের চিনেন। তারা ইভিএমগুলো পরীক্ষানিরিক্ষা করে জানাবেন মেশিনে কোন ত্রুটি আছে কিনা।
নির্বাচন কমিশন বলেন, ইতিপুর্বে ইভিএম মেশিনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে কোথাও কিন্তু নির্বাচনের পরে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। ইভিএম মেশিনের কারনে তারা হেরেছেন কোন মেয়র বা কাউন্সিলর কমিশনে এমন অভিযোগ করেনি। বরং আমাদের কাছে অন্য আবেদন আসে যে আমাদের এখানে ইভিএম দেন। কারন ইভিএম মেশিন থাকলে আমার অনেক প্রার্থী আমাদের কাছে আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সংবিধানে বলা আছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে নিয়ে আসা বা না আসা, তা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন তা নেবে। ‘যাঁর ভোট তিনি দেবেন, যাঁকে খুশি তাঁকে দেবেন’ এ বিষয়টি নিয়ে কমিশন কাজ করছে। এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা গেলে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার প্রমুখ।