কুড়িগ্রাম; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ইরি জমিতে মাঠজুড়ে চলছে বোরো আবাদের ধুম।ইরি আবাদ সঠিক সময় সফল করতে চাষিরা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করে যাচ্ছেন।তবে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি থাকায় তাদের অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে।শীতে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সার, বীজ,ডিজেল, সেচসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় শতক প্রতি এবার বাড়তি খরচ গুনতে হবে তাদের। মৌসুমে প্রচণ্ড শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কাজ না থাকায় মাস খানিক আগে ভূরুঙ্গামারী থেকে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ঢাকাসহ অনেক স্থানেই কাজের উদ্দেশ্যে চলে গেছে।এদিকে কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত কৃষক। আবার শ্রমিক পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।ফসলের জমিতে গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে চারা রোপণ করছেন। অনেকে আবার হাল চাষ নিয়ে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। ফসলি এসব জমিগুলোতে চলছে গভীর নূলকুপের মাধ্যমে সেচের কাজ। এদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলা মোড়ের চাষি আলম,ছালাম,আমিনুর ,তমছের ,মোতালেব জানান চাষাবাদের জন্য ডিজেল কিনতে হচ্ছে আগের থেকে কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা বেশী দরে,বিদুৎ এর দাম বেশী,সারের দাম বেশি,শ্রমীকের দাম বেশী।এদিকে শীতের কারণে চারার বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ভরা মৌসুমে শীতের কারণে চাষাবাদ করতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক পাওয়া গেলেও গুনতি হচ্ছে বাড়তি টাকা।আরও একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বছর ফসল উৎপাদনের সময় ধানের দাম থাকে না। এতে উৎপাদন খরচ উঠাতেই তাদের হিমশিত খেতে হয়। ফলে তাদের ঋণের বোঝা বেড়ে যায়।