1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
ভুরুঙ্গামারীতে নাবালিকা শিশুর ব্যাংকে থাকা দুই লক্ষ পনেরো হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আপন মামার বিরুদ্ধে - Barta24TV.com
রাত ৩:২০, সোমবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুরুঙ্গামারীতে নাবালিকা শিশুর ব্যাংকে থাকা দুই লক্ষ পনেরো হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আপন মামার বিরুদ্ধে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, নভেম্বর ৩০, ২০২২
  • 564 Time View

ভুরুঙ্গামারীতে নাবালিকা শিশুর ব্যাংকে থাকা দুই লক্ষ পনেরো হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আপন মামার বিরুদ্ধে।

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামে রবিউল ইসলাম মুকুল (৩০) এর মেয়ে মারিয়া আক্তারের (১১) সাথে এই প্রতারণা করেছেন মারিয়ার আপন মামা হামিদুল ইসলাম। এরকমই একটা লিখিত অভিযোগ ৩ অক্টোবর মারিয়ার দাদা ভুরুঙ্গামারী থানায় অভিযোগ করেন।

ভুরুঙ্গামারী থানার অভিযোগ সূত্রে ও স্থানীয় চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম (৫৩) এর ছেলে রবিউল ইসলাম মুকুলের সাথে একই এলাকার মৃত জলিল উদ্দিন এর মেয়ে মোসাম্মৎ জরিফা খাতুনের (২৪) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক আস্তে আস্তে গভীরে চলে গিয়ে গর্ভবতী হয় জরিফা খাতুন। পরে মুকুল জরিফাকে বিয়া না করলে কুড়িগ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কোটে মামলা করেন জরিফা খাতুন। এই মামলা চলে ৫-৬ বছর।এরি মধ্যে জরিফা খাতুনের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক মেয়ে সন্তান যার নাম রাখে মারিয়া আক্তার। মারিয়া আক্তারের এখন বয়স ১১ বছর। এদিকে পিতৃত্বহীন মারিয়া আক্তার এর বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান স্কুলের শিক্ষক ও সুধীমহল বিষয়টি আমলে নিয়ে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে মুকুল ও জরিফা খাতুন এর বিবাহ দিয়ে দেয়। তাদের বিবাহ হলে জরিফা খাতুন মুকুলের বিরুদ্ধে কোর্টে থাকা মামলা তুলে নেয়। পরে বিয়ের এক থেকে দুই মাস না যেতেই সংসারে চলে আসে অশান্তি।পরে আবার পূর্বের সালিশ যারা করেন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তারাই উভয়পক্ষকে ডেকে সিদ্ধান্ত নেয় ডিভোর্সের। পরে শালীসে সিদ্ধান্ত নেয় মুকুলের স্ত্রী জরিফা খাতুনকে মুকুল ডিভোর্স দিবে ভরণপোষণ সহ যা খরচ আছে সবমিলিয়ে চার লক্ষ টাকা এবং মুকুলের মেয়ে মারিয়া আক্তার নামে তার ভবিষ্যতের জন্য ২ লক্ষ টাকা জনতা ব্যাংক লিমিটেড ভুরুঙ্গামারী শাখায় জমা দিবে মুকুল।অন্যদিকে মারিয়া আক্তার তার মা ও মামার বাড়িতে থাকবে।পরে
মারিয়ার নামে আর নমিনি হিসেবে তার মামা হামিদুল ইসলামের নামে একাউন্ট হয়।
সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিভোর্সও হয়ে যায় তাদের।মারিয়ার নামে ব্যাংকের একাউন্ট খোলা হয় ১৪-০২-২০১৭ ইং সালে যার একাউন্ট নাম্বার (০১০০০৮৫৭৩৩৬০০।পরে ২১-০৪-১৭ সালে
২ লাক্ষ টাকাও ব্যাংকে জমা হয়ে যায় নমিনি মারিয়ার মামা হামিদুল ইসলামের নাম দিয়ে।এদিকে মারিয়াও থাকে তার মামার বাড়িতে। মারিয়ার মা জরিফা খাতুন কিছুদিন পর অন্য জায়গায় বিবাহ বসেন। এই সুযোগে মারিয়ার মামা মারিয়াকে ২৪-০২-১৯ তারিখে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে মারিয়ার নামে একাউন্টে জমানো টাকা ২ লক্ষ ও লাভের অংশ ১৫ হাজার টাকা সহ মারিয়ার স্বাক্ষর ও হামিদুল ইসলাম তার স্বাক্ষর দিয়ে পুরো টাকাটাই তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করে।যেটা আমি মারিয়ার দাদু,আমার ছেলে মুকুল সহ সালিশে উপস্থিতি ছিল তারা টাকা উত্তোলনের বিষয়টি কেউ জানে না।টাকা উত্তোলনের কিছুদিন পর মারিয়াকে আমাদের বাড়ির ওই গ্রামের পাশে হওয়ায় আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। তখন থেকেই মারিয়া আমাদের কাছ থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যায় এখন সে ক্লাস সিক্সে পড়ে।পরে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে এই বিষয় নিয়ে দেওয়ানীদেরকে একাধিকবার বলি।বিবাদী হামিদুল ইসলামের সাথে বসার জন্য। বসার চেষ্টা করলে হামিদুল ইসলাম তাদেরকেও পরবর্তীতে আর পাত্তা না দিয়ে দূরে সরে যায়।পরে আমি স্থানীয়, শিক্ষক,সুধীমহলকে জানিয়
এই বিচার পাওয়ার আশায় আমি মারিয়ার দাদু নুরল ইসলাম (৫৩) থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করি হামিদুলের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বিবাদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বোনের মামলা ৫-৬ বছর চালাইছি সেখানে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিলো।পরে বোনকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিলো। তাই পুরো টাকাটাই আমি নিয়েছি।

এই দুই লাখ টাকার বিষয়ে পূর্বের সালিশ যারা করেছিলেন তার মধ্যে বাগভান্ডার দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নিজাম উদ্দিন (৫৭), সহকারী শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম(৫৪), সহকারি মাওলানা শিক্ষক মোঃ আব্দুল ওহাব(৫০)। যে বাড়িতে পূর্বে সালিশ হয়েছিল সেই বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান ডাবলু(৫৫), স্থানীয় রহিম উদ্দিন(৭৪), আবু বকর সিদ্দিক(৬৩), জয়বর আলী ড্রাইভার(৬০), আলম(৪২), জাকির(৪৮)সহ আরো অনেকেই বলেন ঘটনা সব সত্যি এবং ডিভোর্স এর সময় ৪ লাক্ষ টাকা মুকুলের বউয়ের ভরণপোষণ বাবদ নগদ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয় ও শিশু মারিয়ার ভবিষ্যতের জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা জনতা ব্যাংকে তার মামা হামিদুল ইসলামকে নমিনি করে রাখা হয়।এখন শুনি হামিদুল টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করে নিয়েছে।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক জাহিদ হাসান বলেন মারিয়ার নামে স্কুল ব্যাংকিং সেভিংস একাউন্ট খোলা আছে। আর এই অ্যাকাউন্ট থেকে যখন তখন এই একাউন্টের মালিক, নমিনি স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নিতে পারবে।

মারিয়ার বাবা রবিউল ইসলাম মুকুল বলেন আমার মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য ২ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যানসহ অনেকেই চেয়েছিল সালিশে আমি অনেক কষ্ট করে সেই টাকা ম্যানেজ করে দিয়েছিলাম। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দবি জানাচ্ছি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এ রকমই প্রত্যাশা।

ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন আমি অনেক অসুস্থ, তবে কয়েক বছর আগের কথা সঠিক মনে নেই কত টাকা লেনদেন হয়েছিল । কিন্তু মুকুলের বউকে ওইরকম কিছু টাকা দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছিল আর ওর শিশু মেয়ের জন্য নগদ দেড় ২ লাখ টাকা হতে পারে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকে রাখার জন্য।

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনকে ফোন করা হলে এই বিষয়ে জানার জন্য তিনি বলেন কিছুদিন আগে আমার কাছে আসছিল বাদীরা আমি অভিযোগ করতে বলি। কিন্তু পরে অভিযোগ করছে কিনা আমি সঠিক জানিনা। আমি এখন ঢাকায় আছি থানায় ফিরে গিয়ে বিষয়টা দেখবো

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category