1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
ভুরুঙ্গামারীতে নাবালিকা শিশুর ব্যাংকে থাকা দুই লক্ষ পনেরো হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আপন মামার বিরুদ্ধে - Barta24TV.com
রাত ২:৩৩, শনিবার, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুরুঙ্গামারীতে নাবালিকা শিশুর ব্যাংকে থাকা দুই লক্ষ পনেরো হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আপন মামার বিরুদ্ধে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, নভেম্বর ৩০, ২০২২
  • 592 Time View

ভুরুঙ্গামারীতে নাবালিকা শিশুর ব্যাংকে থাকা দুই লক্ষ পনেরো হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আপন মামার বিরুদ্ধে।

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামে রবিউল ইসলাম মুকুল (৩০) এর মেয়ে মারিয়া আক্তারের (১১) সাথে এই প্রতারণা করেছেন মারিয়ার আপন মামা হামিদুল ইসলাম। এরকমই একটা লিখিত অভিযোগ ৩ অক্টোবর মারিয়ার দাদা ভুরুঙ্গামারী থানায় অভিযোগ করেন।

ভুরুঙ্গামারী থানার অভিযোগ সূত্রে ও স্থানীয় চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম (৫৩) এর ছেলে রবিউল ইসলাম মুকুলের সাথে একই এলাকার মৃত জলিল উদ্দিন এর মেয়ে মোসাম্মৎ জরিফা খাতুনের (২৪) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক আস্তে আস্তে গভীরে চলে গিয়ে গর্ভবতী হয় জরিফা খাতুন। পরে মুকুল জরিফাকে বিয়া না করলে কুড়িগ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কোটে মামলা করেন জরিফা খাতুন। এই মামলা চলে ৫-৬ বছর।এরি মধ্যে জরিফা খাতুনের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক মেয়ে সন্তান যার নাম রাখে মারিয়া আক্তার। মারিয়া আক্তারের এখন বয়স ১১ বছর। এদিকে পিতৃত্বহীন মারিয়া আক্তার এর বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান স্কুলের শিক্ষক ও সুধীমহল বিষয়টি আমলে নিয়ে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে মুকুল ও জরিফা খাতুন এর বিবাহ দিয়ে দেয়। তাদের বিবাহ হলে জরিফা খাতুন মুকুলের বিরুদ্ধে কোর্টে থাকা মামলা তুলে নেয়। পরে বিয়ের এক থেকে দুই মাস না যেতেই সংসারে চলে আসে অশান্তি।পরে আবার পূর্বের সালিশ যারা করেন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তারাই উভয়পক্ষকে ডেকে সিদ্ধান্ত নেয় ডিভোর্সের। পরে শালীসে সিদ্ধান্ত নেয় মুকুলের স্ত্রী জরিফা খাতুনকে মুকুল ডিভোর্স দিবে ভরণপোষণ সহ যা খরচ আছে সবমিলিয়ে চার লক্ষ টাকা এবং মুকুলের মেয়ে মারিয়া আক্তার নামে তার ভবিষ্যতের জন্য ২ লক্ষ টাকা জনতা ব্যাংক লিমিটেড ভুরুঙ্গামারী শাখায় জমা দিবে মুকুল।অন্যদিকে মারিয়া আক্তার তার মা ও মামার বাড়িতে থাকবে।পরে
মারিয়ার নামে আর নমিনি হিসেবে তার মামা হামিদুল ইসলামের নামে একাউন্ট হয়।
সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিভোর্সও হয়ে যায় তাদের।মারিয়ার নামে ব্যাংকের একাউন্ট খোলা হয় ১৪-০২-২০১৭ ইং সালে যার একাউন্ট নাম্বার (০১০০০৮৫৭৩৩৬০০।পরে ২১-০৪-১৭ সালে
২ লাক্ষ টাকাও ব্যাংকে জমা হয়ে যায় নমিনি মারিয়ার মামা হামিদুল ইসলামের নাম দিয়ে।এদিকে মারিয়াও থাকে তার মামার বাড়িতে। মারিয়ার মা জরিফা খাতুন কিছুদিন পর অন্য জায়গায় বিবাহ বসেন। এই সুযোগে মারিয়ার মামা মারিয়াকে ২৪-০২-১৯ তারিখে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে মারিয়ার নামে একাউন্টে জমানো টাকা ২ লক্ষ ও লাভের অংশ ১৫ হাজার টাকা সহ মারিয়ার স্বাক্ষর ও হামিদুল ইসলাম তার স্বাক্ষর দিয়ে পুরো টাকাটাই তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করে।যেটা আমি মারিয়ার দাদু,আমার ছেলে মুকুল সহ সালিশে উপস্থিতি ছিল তারা টাকা উত্তোলনের বিষয়টি কেউ জানে না।টাকা উত্তোলনের কিছুদিন পর মারিয়াকে আমাদের বাড়ির ওই গ্রামের পাশে হওয়ায় আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। তখন থেকেই মারিয়া আমাদের কাছ থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যায় এখন সে ক্লাস সিক্সে পড়ে।পরে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে এই বিষয় নিয়ে দেওয়ানীদেরকে একাধিকবার বলি।বিবাদী হামিদুল ইসলামের সাথে বসার জন্য। বসার চেষ্টা করলে হামিদুল ইসলাম তাদেরকেও পরবর্তীতে আর পাত্তা না দিয়ে দূরে সরে যায়।পরে আমি স্থানীয়, শিক্ষক,সুধীমহলকে জানিয়
এই বিচার পাওয়ার আশায় আমি মারিয়ার দাদু নুরল ইসলাম (৫৩) থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করি হামিদুলের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বিবাদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বোনের মামলা ৫-৬ বছর চালাইছি সেখানে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিলো।পরে বোনকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিলো। তাই পুরো টাকাটাই আমি নিয়েছি।

এই দুই লাখ টাকার বিষয়ে পূর্বের সালিশ যারা করেছিলেন তার মধ্যে বাগভান্ডার দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নিজাম উদ্দিন (৫৭), সহকারী শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম(৫৪), সহকারি মাওলানা শিক্ষক মোঃ আব্দুল ওহাব(৫০)। যে বাড়িতে পূর্বে সালিশ হয়েছিল সেই বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান ডাবলু(৫৫), স্থানীয় রহিম উদ্দিন(৭৪), আবু বকর সিদ্দিক(৬৩), জয়বর আলী ড্রাইভার(৬০), আলম(৪২), জাকির(৪৮)সহ আরো অনেকেই বলেন ঘটনা সব সত্যি এবং ডিভোর্স এর সময় ৪ লাক্ষ টাকা মুকুলের বউয়ের ভরণপোষণ বাবদ নগদ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয় ও শিশু মারিয়ার ভবিষ্যতের জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা জনতা ব্যাংকে তার মামা হামিদুল ইসলামকে নমিনি করে রাখা হয়।এখন শুনি হামিদুল টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করে নিয়েছে।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক জাহিদ হাসান বলেন মারিয়ার নামে স্কুল ব্যাংকিং সেভিংস একাউন্ট খোলা আছে। আর এই অ্যাকাউন্ট থেকে যখন তখন এই একাউন্টের মালিক, নমিনি স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নিতে পারবে।

মারিয়ার বাবা রবিউল ইসলাম মুকুল বলেন আমার মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য ২ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যানসহ অনেকেই চেয়েছিল সালিশে আমি অনেক কষ্ট করে সেই টাকা ম্যানেজ করে দিয়েছিলাম। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দবি জানাচ্ছি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এ রকমই প্রত্যাশা।

ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন আমি অনেক অসুস্থ, তবে কয়েক বছর আগের কথা সঠিক মনে নেই কত টাকা লেনদেন হয়েছিল । কিন্তু মুকুলের বউকে ওইরকম কিছু টাকা দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছিল আর ওর শিশু মেয়ের জন্য নগদ দেড় ২ লাখ টাকা হতে পারে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকে রাখার জন্য।

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনকে ফোন করা হলে এই বিষয়ে জানার জন্য তিনি বলেন কিছুদিন আগে আমার কাছে আসছিল বাদীরা আমি অভিযোগ করতে বলি। কিন্তু পরে অভিযোগ করছে কিনা আমি সঠিক জানিনা। আমি এখন ঢাকায় আছি থানায় ফিরে গিয়ে বিষয়টা দেখবো

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়