হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃবহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি আমাজনের জেফ বেজোস ও ফরাসী ফ্যাশন জায়ান্ট লুই ভুইতোর বার্না আনুকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ভারতের গৌতম আদানি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়া তালিকার তথ্য অনুযায়ী, আদানি গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠাতার সম্পদের মূল্য এখন ১৫ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। ২৭ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে এলন মাস্ক এখনও সবার ওপরেই আছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।প্রথম এশীয় হিসেবে শীর্ষ তিনে উঠে আসার কয়েক সপ্তাহ পরই শুক্রবার ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার ট্র্যাকারে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী হিসেবে উঠে এসেছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। ফোর্বসের মতে, মোট সম্পদ রাতারাতি চার বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৫৪ বিলিয়ন হওয়ায় তিনি এলভিএমএইচ-এর বার্নার্ড আর্নল্ট ও অ্যামাজনের জেফ বেজোর্সকে পেছনে ফেলে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেন। টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ২৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ নিয়ে যথারীতি শীর্ষে রয়েছেন।গৌতম আদানি গত মাসেই লুই ভুইতোর আনুকে টপকে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন, সে সময় তার সামনে ছিল কেবল মাস্ক ও বেজোস। ধনীদের র্যাঙ্কিংয়ে এবার শীর্ষ তিনে উঠে এসেছেন আনু। আজ শুক্রবারই ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৪৯০ কোটি ডলার বেড়ে তার পরিবারের সম্পদের মোট মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারে। আর ২৩০ কোটি ডলার খুইয়ে চারে নেমে যাওয়া বেজোসের মোট সম্পদমূল্য এখন ১৪ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার। আরেক ভারতীয় ধনকুবের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুকেশ আম্বানি ৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার নিয়ে এ তালিকার ৮ নম্বরে আছেন। ভারতের প্রথম প্রজন্মের উদ্যেক্তা গৌতম আদানির একাধিক অবকাঠামো, খনি, জ্বালানি ও অন্যান্য খাত সংশ্লিষ্ট কোম্পানি আছে। গত ৫ বছরে আদানি এন্টারপ্রাইজ বিমানবন্দর, সিমেন্ট, তামা পরিশোধন, ডাটা সেন্টার, গ্রিন হাইড্রোজেন, পেট্রোকেমিকেল পরিশোধন, সড়ক ও সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ দ্রুত বর্ধনশীল খাতগুলোয় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। টেলিকম খাতে প্রবেশ এবং গ্রিন হাইড্রোজেন ও বিমানবন্দরের ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে তাদের। আদানি গ্রুপ সবুজ জ্বালানি অবকাঠামোতে ৭০০ কোটি ডলার দেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে।