বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চকডোস গ্রামের আব্দুল মন্নান ভুইয়ার ছেলে হারেছ (৬০) কে পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা ও চুরি করতে রাতে চাকু ও দা নিয়ে তার বাসায় প্রবেশ করার সময় ২ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। বুধবার রাত ২ টায় হারেছকে হত্যার চেষ্টা ও তার বসত ঘর চুরি করার সময় একই এলাকার মফিজ ফরাজি ও তার ছেলে রাহিম ফরাজীকে একটি বড় চাকু, দা সহ হারেছ ও স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করেন। পরে ওই চাকু ও দা সহ স্থানীয় চৌকিদারের কাছে তাদেরকে জমা দেন। বিষয়টি শালিশ মিমাংসা হবে বলে তুহিন হাওলাদারের জিম্মায় ছেরে দেওয়া হয় তাদেরকে । ভুক্তভোগী হারেছ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। হঠাত আমার ঘরের দরজা খোলার শব্দ শুনতে পাই। রাত তখন আনুমানিক ২ টা বাজে। কিছুক্ষণ পরে দেখি কারা যেন ঘরে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে জরিয়ে ধরে চিৎকার দেই। তখনই তাদের সাথে আমার কুস্তি হয়। ঘরে থাকা আমার স্ত্রী সন্তানসহ সবাই সজাগ হয় তাদের সহোযোগিতায় মফিজ ফরাজি ও তার ছেলে রাহিম ফরাজীকে একটি বড় চাকুসহ দা হাতে আটক করি। পরে আমাদের পাশের ঘরের জসিম, বাবুল ও শাজাহান তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। তারাও আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে। এসময় আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে সবাইকে আটক করে স্থানীয় চৌকিদারের কাছে প্রেরন করেছে। আমাদের সাথে পাশের ঘরের লোকজনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলমান আছে। তারা আমার ঘর চুরি করাতে ও আমাকে হত্যা করতে মফিজ ফরাজি ও তার ছেলে রাহিম ফরাজীকে ভাড়া করেছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত মফিজ ফরাজি ও তার ছেলে রাহিম ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে তাদেরকে খুজে পাওয়া যায়নি। তবে রাহিম ফরাজীর স্ত্রী শারমিন জানান, তার জায়ের ছেলে অসুস্থ্য হওয়ায় পরামর্শ নেওয়ার জন্য তার শ্বশুর মফিজ ফরাজি ও স্বামী রাহিম ফরাজি রাত ২ টায় ওই বাড়িতে যায়। কিন্তু তারা চুরির অপবাদ দেয়। স্থানীয় চৌকিদার কবিরের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনার পরে আমাকে একটা চাকু ও দা দেখাইছে । সেগুলো সাবেক মেম্বার দ্বীন ইসলামের কাছে জমা আছে। তবে বিষয়টি বোরহানউদ্দিন থানায় জানাইনি। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা তুহিন হাওলাদার জানান, দুই পক্ষকে ডেকেছি শালিশ মিমাংসা করেদিব। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্যঃ গত ৫ দিনে ওই এলাকায় ৪ টি বাড়ি চুরি হয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করেছে চোর চক্র। চোর আতংকে পুরো এলাকাবাসী।