বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মোঃ সারোয়ারঃ
দীর্ঘ দিন একই প্রতিষ্ঠানে থাকার ফলে একঘোয়ামি চলে আসে।
শিক্ষকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চলতা আসে না,
প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে নিজের বাপ দাদার সম্পদ মনে করে, সাধারন শিক্ষক দের উপর নির্যাতন করেন, যার ফলে শিক্ষার মান নিচ্ছিত করা যায় না ।
বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী, পুত্র -কন্যা পাশে না থাকায় মনস্তাত্ত্বিক অতৃপ্তি।
অল্প বেতন দিয়ে দুই সংসার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
নারী শিক্ষিকাদের স্বামী-স্ত্রী দুইজন দুই প্রান্তে থাকার কারণে প্রায়ই ডিভোর্স এর মতো ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় শিক্ষক ও স্থানীয় ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা দূরের শিক্ষকদের উপর মানসিক পেরেশানি দেওয়া।
প্রত্যেকটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বারবার ইনডেক্সধারী আবেদন করার ফলে তারাই বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ পাওয়ার ফলে শূন্যপদ শূন্যই থেকে যাচ্ছে। নতুন নিবন্ধনধারী অশিক্ষকরা আর নিয়োগ পাচ্ছে না।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের কে প্রত্যেকটা গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলি বিজ্ঞপ্তি দিতে সরকারের অতিরিক্ত টাকা লাগবেনা বরং লাভ হবে।
বদলি প্রথা না থাকার কারণে দূরের শিক্ষক গুলো শ্রেণীকক্ষে যথাযথ পাঠদান দিতে পারছেনা।
সারাক্ষণ পরিবার পরিজনের জন্য দুশ্চিন্তায় দিনাধিপাত করতে হচ্ছে।
বদলি না থাকার কারণে বর্তমান বাজারে সংসার পরিচালনা,বৃদ্ধ বাবা-মার লালনপালন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে।
এছারাও শিক্ষকরা শত মাইল দূরে অবস্থান করার কারণে নিকটাত্মীয় মারা গেলে জানাযা পর্যন্ত অংশগ্রহণ সম্ভব হয় না।
তার বলেন বদলি না থাকার কারণে ছুটি শেষে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে কে রেখে সারা রাস্তা কাঁদতে কাঁদতে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে কর্মস্থলে হাজির হতে হয়।
বদলি প্রথা না থাকার কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলুহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ কথা গুলো বলেন অভিযোগ বার্তার বরগুনা জেলা প্রতিনিদির সাথে আলাপ কালে এনটি আরসিএ মাধ্যমে নিয়োগ পাপ্ত এক শিক্ষক।এক কথা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছে।