স্পোর্টস ডেস্ক চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরে আর মাত্র চারটি ম্যাচ বাকি। যেখানে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দুই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।এই ম্যাচের লড়াইয়ে বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেটের মুখোমুখি হবে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। এই ম্যাচে পরাজিত দলের সামনেও সুযোগ থাকছে ফাইনালে যাওয়ার। এলিমিনেটর ম্যাচে বিজয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। চলতি আসরে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। লিগের ১২ খেলায় ৯ জয় ও ৩ পরাজয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে মাশরাফীরা। অপরদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা প্রথম তিন ম্যাচেই পরাজয় বরণ করেছিল। তবে পরের ৯ ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে সিলেটের সমান ১৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে কুমিল্লা। তবে নেট রান রেটে সিলেটের (০.৭৩৭) চেয়ে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা (০.৭২৩) খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। এবারের আসরে রাউন্ড রবিন লিগের প্রথম ও ফিরতি পর্ব মিলে সিলেট ও কুমিল্লা ২ বারের মোকাবিলায় উভয় দলের জয়-পরাজয় সমানে সমান। কাকতালীয় ব্যাপার হলো জয়ের ব্যবধানও একই; দুই দল সমান ৫ উইকেটে বিজয়ী। গত ৯ জানুয়ারি প্রথম দেখায় প্রথমে ব্যাট করে উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিকের ৪৩ বলে ৫৭ রানে স্কোরবোর্ডে ১৪৯ রান করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে তৌহিদ হৃদয়ের ৩৭ বলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪ ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে ৫৬ এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ২৮ রানের হার না মানা ইনিংসে ১৪ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাশরাফির দল। এরপর ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিরতি দেখায় প্রতিশোধ নেয় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই বিদেশি থিসারা পেরেরার ৪৩* ও ইমাদ ওয়াসিমের ৪০* রানের পরও ১৩৩ রানে আটকে যায় সিলেট। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ৪২ বলে চার ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে ৭০ রান করে এক ওভার আগেই কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন। তবে পিএসএল খেলতে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ায় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে দু’দলের লাইনআপে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। ফলে সিলেট তাদের দুই প্রধান অস্ত্র মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের বিকল্প হিসেবে জেমস লিন্ডে আর ইসুরু উদানাকে নিয়েছে। অন্যদিকে কুমিল্লা কোয়ালিফায়ারের আগে আরও শক্তি বাড়িয়েছে। পাকিস্তানি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হাসান আলী ফিরে গেলেও তাদের ইংলিশ রিক্রুট মইন আলি চলে এসেছেন। আর টি-টোয়েন্টর ফেরিওয়ালা দুই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্দ্রে রাসেল ও সুনিল নারিন তো গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচেও খেলেছেন। ফলে বিপিএলের ফাইনালে আগে জমজমাট লড়াইয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন বাংলার ক্রীড়ামোদি ভক্ত সমর্থকরা। তাই দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া মাশরাফীর নেতৃত্বাধীন সিলেট নাকি তারকায় ঠাসা দল কুমিল্লা জয়লাভ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।