আজকাল বিএন পির আগডুম বাগডুম দেখে বাধ্য হলাম কলম হাতে নিতে এ শোকর মাসে এ নিয়ে কিছু কথা ,
-ইকবাল আহমেদ লিটন: জিয়াউর রহমানের দল কেন গঠিত হয়েছিল, কারা গঠন করেছিল, কারা মন্ত্রী হয়েছিল–সেসব কারো অজানা নয়। এর ভেতরেই আছে পাকিস্তানের ছায়া। আছে পরবর্তীকালে রাজাকারদের পুর্নবাসনের সূচনা। তারা এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রজন্মে ভরে ফেলার চক্রান্তে আমাদের অর্জন নিয়ে খেলেছিল। ঘোষণা, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ বিতর্কিত করার অপচেষ্টা সফল হয়নি বরং সময়ের হাত ধরে তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। জয় বাংলা!
বাংলাদেশে বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। এর প্রমাণ অজস্র। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা, সেনা অফিসার ও সৈন্যকে হত্যা করেছেন নির্বিচারে। জোট আমলে সরকারের মদদে বিএনপির সন্ত্রাসীরা ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। এক রাতেই ধর্ষণ করা হয়েছিল হাজার হাজার সংখ্যালঘু নারীদের। প্রতিহিংসা থেকে বর্বরতার এই নগ্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিএনপি-জামায়াত। এখন বিএনপির মুখে অন্য কথা খুবই বেমানান। জনগণ এখন এসব বিশ্বাস করতে নারাজ। জনগণ এখন অনেক ভাল এবং সুখে আছে। *২০০১ সালের নির্বাচনে গভীর চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়। *প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজউদ্দিন, খুলনার এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা।
*বাংলাভাই, হরকাত-উল-জিহাদসহ নানা জঙ্গীগোষ্ঠী সৃষ্টি। *দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে রাজশাহী-নওগাঁ অঞ্চলে মানুষ হত্যা। *২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় একসঙ্গে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়। *পিরোজপুরে দুইজন বিচারককে হত্যা। *জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন বারে বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা। *২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের র্যালিতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করে। ২২ নেতাকর্মী হত্যা আইভী রহমানসহ। *ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা। *২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ৫৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়। *২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ এই তিন বছরে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের হাতে প্রায় ৫০০ নিরীহ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। *প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি, ২৯টি রেলগাড়ি ও ৯টি লঞ্চ পোড়ানো হয়। *৭০টি সরকারী অফিস ও স্থাপনা ভাংচুর এবং ৬টি ভূমি অফিসে আগুন দেয়া হয়। *মসজিদে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় পবিত্র কোরান শরীফ। *নির্বিচারে রাস্তার গাছ কাটা হয়। *পেট্রোলবোমা হামলা করে নিরীহ গবাদিপশু পর্যন্ত মারা হয়।
*বিএনপি নেত্রী ৬৮ জনকে নিয়ে ৯২ দিন অফিসে থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও তা-বের হুকুম দিয়েছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে বায়তুল মোকাররমকে ঘিরে হেফাজত ও জামায়াত যে তাণ্ডব, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে তার ভেতর সবচেয়ে মর্মান্তিক ছিল জাতীয় মসজিদের চারপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৫০০ দোকান আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা। বায়তুল মোকাররমের তিন দিকে ফুটপাতের ওপর বই, কাপড়, খেলনা, জুতা, ব্যাগ-স্যুটকেস ও মনোহারি সামগ্রীর অসংখ্য দোকান আছে, সব দোকানে দু’-তিন লাখ থেকে সাত-আট লাখ টাকার পণ্য ছিল। এসব ছোট ছোট দোকানই ছিল তাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। চোখের সামনে জীবনের সকল সম্বল নিমেষে ছাই হতে দেখলে মানুষের প্রতিক্রিয়া কতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে সেদিন আমরা টেলিভিশনের পর্দায় অবলোকন করেছি এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছি।আসর্বস্ব হারানো এসব মানুষের আর্তনাদ, বিলাপ ও কান্না যারা টেলিভিশনে দেখেছিলেন তাদের অনেকে অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। একজন দোকানদার কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ওরা মুসলমান নয়, ওরা ইসলামের দুশমন, ওদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে। কারা এ কাজ করেছে- সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এক যুবক ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলেছেন, শফীর গুণ্ডারা এ কাজ করেছে। আর প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, ৭ জুলাই ২০১৬ বলেছিলেন; “যারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি এদের কোন ধর্ম নাই। এদের কোন দেশ নাই, এদের কিছু নাই। জঙ্গি-সন্ত্রাসী হিসেবেই এরা মানুষের কাছে, জাতির কাছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব থেকে ঘৃণিত বস্তু। এদের ঠাই জাহান্নামে হবে। এরা কোনদিন বেহেস্ত পাবে না। এটা কোরআন শরীফেরই বিধান। একেবারে নিরস্ত্র মানুষ, নিরীহ মানুষকে হত্যা করার কথা ইসলাম বলে না। কাজেই আবারও দেশবাসীকে এটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা আছি আপনাদের পাশে। আমি তো সব হারিয়েছি। আমার হারানোর কিছু নেই। কাজেই আমি এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে এসেছি, কাজ করে যাব। মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেব, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে।
বি এন পির শীর্ষ নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে এবং উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে ,আজ বি এন পি নেতারা কি বলছে আপনারা দেখুন আর এক বার ভাবুন? আমার খুব হাসি পায় ,যখন দেখি বিএন পির কিছু মহামন্ডিত গনের লাফালাফি ধাপ্পাবাজি কথা শুনে সরকার পতন ঘটাবে।
এবার আসুন দেশটা আমাদের সবাইর আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে যেখানে আছে আমাদের শক্তি, সাহস ও ভালবাসা যার নাম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।
লেখক: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সদস্য সচিব আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ, ইকবাল আহমেদ লিটন ও উপদেষ্টা সম্পাদক, অভিযোগ বার্তা।