মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগর নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর সুজন সিংহ (১৫) তিন দিন পরে ভাসমান লাশ আজ বিকালে নাগর নদী থেকে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা জানান,গত শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার রত্নাই সীমান্ত এলাকার নাগর নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুজন। রোববার দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিউল্লাহ বসুনিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিখোঁজ সুজন সিংহ উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বগুলা বাড়ি গ্রামের দ্বিজেন্দ্রনাথ সিংহর ছেলে। বালিয়াডাঙ্গী ফায়ার সাভির্স স্টেশন অফিসার শফিউল্লাহ বসুনিয়া স্থানীয়দের বরাতে বলেন, গত শনিবার সকাল ১১ টার দিকে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ওই কিশোর নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে আমাদের টিম অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরে রোববার সকালে রংপুর থেকে ডুবুরি দল এসে নদীর পানিতে দুপুর পর্যন্ত খুঁজলেও তাকে পায়নি। ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন জানান, পানিতে নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পার হলে দেহ পানিতে ডুবে থাকার কথা নয়। সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত নিখোঁজের স্থান থেকে দুই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত খুঁজেও ডুবুরি দল ওই কিশোরকে পায়নি। পরে তার পরিবারের সদস্য, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশের সাথে আলোচনা করে উদ্ধার অভিযানের কাজ সমাপ্ত করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডংগা, থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের বলা হয়েছে নিখোঁজ হওয়া ওই কিশোরের মরদেহ কোথায় ভাসতে দেখলে সাথে সাথে জানানোর জন্য বলেন। এছাড়াও দিনাজপুরে করতোয়া নদীতে একজন নিখোঁজ হওয়ায় ডুবুরি দলকে সেখানে চলে যান। পরিদন আজ বিকালে রত্নাই সীমান্তের ৩৮২/২ সাব পিলারের নিকট স্থানীয় কৃষকেরা মাঠে কাজ শেষে হাত ধুইতে নাগর নদীর ধারে গেলে এসময় নিখোঁজ সুজনের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। তার পরিবার তাৎক্ষনিকভাবে মৃত্য সুজনের লাশের সৎকার সম্পন্ন করে। এব্যাপারে স্থানীয় আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডংগা জানান, নাগর নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ সুজনের লাশ তিনদিন পরে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা পরে তার লাশের সৎকার সম্পন্ন করেছে।