1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
বাঙালির বিশ্বাসঘাতকতা ও আমরা এই জাতি হিসাবে পারবো কি এই ঋন কিছুটা হালকা করতে? - Barta24TV.com
সকাল ১০:২২, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঙালির বিশ্বাসঘাতকতা ও আমরা এই জাতি হিসাবে পারবো কি এই ঋন কিছুটা হালকা করতে?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
  • 292 Time View

বাঙালির বিশ্বাসঘাতকতা ও আমরা এই জাতি হিসাবে পারবো কি এই ঋন কিছুটা হালকা করতে? -লেখকঃ ইকবাল আহমেদ লিটন।

সন্মানিত সকল বন্ধুদের পোষ্ট পড়ে মতামত ব্যক্ত করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।

আমার সকল বন্ধু ও শুভাকাক্ষীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলা ও বাঙালীদের যারা ভালবাসেন তাদের জন্য এই লেখাটা উৎসর্গ করছি।

রাজনীতির হওয়া যখন বইতে শুরু করে তখন তাকে ঘরে, বাইরে, অফিসে, ঘাটে বাটে নানা রকম খোঁচা , টিপ্পনী শুনতে হয় । আপনি কোন দলের সাপোর্টার ? আপনি কি নিরেপক্ষ ? নাকি ? ইত্যাদি ইত্যাদি — আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি স্বচ্ছ ‘সৎ’ পরিচ্ছন্ন রাজনীতি এবং উক্ত ধারনার সাথে বিশ্বাসী রাজনীতিবিদরা দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারেন। বহু অতিতে না গিয়ে ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন থেকে অদ্যবধি বাঙালি রাজনীতিবিদদের কিছু স্বার্থপরতা ও বিশ্বাসঘাতকতার রাজনৈতিক তথ্য উল্লেখ করছি।

১. আমরা জানি; মীর জাফর ‘রাজ বল্লভ’ উমি চাঁদ’ জগৎশেঠদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ২৩ শে জুন ১৭৫৭ সালে নদীয়া জেলার পলাশীর আম বাগানে বাংলার সূর্য অস্তমিত হয়।

২. ছলে বলে কৌশলে ইংরেজরা ১৯০ বছর বাংলা সহ ভারতবর্ষ শাসন শোষণের পর ১৯৪৭ সালে দ্বি -জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। যাহা ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের লাহোর সন্মেলনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সাহেব দ্বি – জাতিতত্ত্বের প্রস্তাব প্রথম উত্থাপন করেন এবং জিন্নাহ সাহেব সেটাকে জোড়ালো ভাবে সমর্থন করেন। অবশ্য এটার গ্রাউন্ড তৈরী করেছিলেন ১৯৩০ সালে কংগ্রেসের সন্মেলনে অখন্ড ভারতে গো রক্ষা নীতি বল্লভ প্যাটেল উত্থাপন করে এবং জওহরলাল নেহেরুর অসন্মতি থাকলেও গান্ধীজির মৌন সন্মানিতর কারণে।

৩. ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফজলুল হক সাহেব অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৩ থেকে ৪৫ পর্যন্ত ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য জনাব খাজা নাজিমুদ্দিন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল দেশ ভাগের পূর্ব পর্যন্ত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসুও তখন জাতীয় নেতা।

৪. ১৯৪৭ সালে যখন দেশ বিভাগ করা হয় ‘ তখন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ‘ সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই (ওড়িষ্যার কটকে জন্ম নেওয়া) শরৎচন্দ্র চন্দ্র বসু অবিভক্ত বাংলার স্বাধীনতা দাবী করেছিলেন। কিন্তু ১.শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ২. খাজা নাজিমুদ্দিন ৩. মাওলানা ভাষানী ৪.জ্যোতি বসু সাহেবদের স্বার্থপরতা অথবা হীনমন্যতার কারণে অবিভক্ত বাংলার জোড়ালো দাবীর ব্যর্থতার দায় কি উক্ত চার নেতার উপর বর্তায় না? অন্যথায় বাংলার ইতিহাস অন্যরকম হতো। ফজলুল হক সাহেবকে কেন শেরে বাংলা উপাধি দেওয়া হয়েছিল যাহা আমার বোধগম্য নহে।

৫. অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলা স্বাধীনতা লাভ করে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং বে -ঈমান মোস্তাকের প্রত্যক্ষ ও জিয়াউর রহমানের পরোক্ষ ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বাংলার স্থপতি জাতির জনককে হারাতে হলো আমাদের। শুধু কি তাই ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো। পৃথিবীর বুকে ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে করে ফেললো স্বাধীনতা বিরোধীরা। যারা জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসালেন তাদের মধ্যে কর্নেল তাহের অন্যতম।
অথচ বিশ্বাসঘাতক জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতা নিস্কন্টক করতে ১৯৭৬ সালে ২১ শে জুলাই সামরিক বিচারে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলান। আরেক বাঙালী যার জন্ম ১৯৪৫ সালের ৫ ই সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি ” যিনি ১৯৭১ সালে চট্রগ্রাম থেকে স্বেচ্ছায় ঢাকায় এসে নিয়াজির আশ্রিত হন যার কারণে দেশ বিজয় লাভের পর উনার স্বেচ্ছায় নিয়াজী সাহেবের আশ্রয়ে যাবার কারণে জিয়াউর রহমান সাহেব উনাকে তালাক দিবেন সিদ্ধান্ত নিলে উনি বঙ্গবন্ধুর কাছে নালিশ দেন। বঙ্গবন্ধু জিয়াউর রহমানকে ডেকে বললেন বেগম খালেদা যদি তোমার বউ না হয়ে বোন হতো তবে তুমি কি করতে?

তখন বঙ্গবন্ধু জিয়াউর রহমান সাহেবকে ধমক দিয়ে বললেন এই ধরনের নালিশ যেন কখনও আমার কাছে না আসে। কারণ তোমার বউয়ের মত আমার দেশের ২ দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজকের স্বাধীনতা। সেই বিশ্বাঘাতিনী আজকে জাতির জনকে হেয় করার জন্য ৯ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৫ ই আগষ্ট নিজের জন্ম দিনের কেক কাটেন৷ আরেক নব্য বিশ্বাসঘাতক জনাব তারেক রহমান জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার আখ্যায়িত করছেন।

আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা কর্মীদের দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যতই জনগণের পাশে দাঁড়াবার পরামর্শ দিয়ে আসছেন দলীয় নেতা কর্মীরা অধিকাংশ (কিন্তু সবাই নয়) উনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ধর্ষণ দখল বাজী এবং চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত আছেন। শত শত উন্নয়ন মূলক কাজের কোন প্রচার প্রচারণা নেই। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আমরা ৮ম পে-স্কেলে স্মরণ কালের বেতনভাতাদি বৃদ্ধি করা সত্ত্বেও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পূর্বের ন্যায় ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কথায় আছে; যার জন্য করি চুরি সেই কয় চোর। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে জাতির জন্য আরামকে হারাম করে জীবন বাজী রেখে উদয়অস্ত পরিশ্রম করে চলতি প্রায় ১০ বছরে জাতিকে অনেকদূর এগিয়ে এনেছেন। সেই জাতি আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কি উপহার দিবেন? তাহা দেখার অপেক্ষায় এখানেই লেখার ইতি টানছি। তবে যাবার আগে একটি কথায় বলে যাচ্ছি; আবার আসিবো ফিরে এই ধান সিড়ি নদীর তীরে।

লেখকঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ,- ইকবাল আহমেদ লিটন,,সদস্য সচিব ,,আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও অভিযোগ বার্তার প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদক।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category