1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
বাঘা-চারঘাট -৬ আসনে ১৫ ও ১ বছরের এমপির সঙ্গে ভোট যুদ্ধ - Barta24TV.com
রাত ৩:৩৫, শনিবার, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঘা-চারঘাট -৬ আসনে ১৫ ও ১ বছরের এমপির সঙ্গে ভোট যুদ্ধ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
  • 243 Time View

এম ইসলাম দিলদার,বাঘা প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -৬ (চারঘাট-বাঘা) সংসদীয় আসনে টানা তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সাথে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চার জন প্রার্থী। ভোটাররা জানান, নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগের মধ্যে।আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: শাহরিয়ার আলম এর সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র ) প্রার্থী আলহাজ্ব রায়হানুল হক রায়হানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে তাদের ধারণা।

এদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই চারঘাট-বাঘা দুটি উপজেলার গ্রামে গ্রামে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই সকল প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নেমেছেন। তবে ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সরকার দলের টানা তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম । তার পাশাপাশি দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক রায়হানের পক্ষে প্রকাশ্যে গ্রামে গঞ্জে গনসংযোগ শুরু করেছেন বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাস আলী, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সহ চারঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। সেসময় আওয়ামীলীগের প্রার্থী আতোয়ার রহমান তালুকদার এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন হন। এরপরের দুই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুন্নবী চাঁদ পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন । পরে এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দীর্ঘ সময় পড়ে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মো: শাহরিয়ার আলম বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন তিন। এবার চতুর্থবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তিনি। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২০০০ সালের উপনির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রায়হানুল হক রায়হান। তিনি ১ বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুদ্দিন রিন্টু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহসিন আলী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জাসদ এর জুলফিকার মান্নান জামী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর আব্দুস সামাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

চারঘাট-বাঘা উপজেলার বিভিন্ন খাতে গত ১৫ বছরে অসংখ্য উন্নয়ন এর পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে নানামুখী মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে সর্বস্থরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী -৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো শাহরিয়ার আলম। এছাড়াও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে সরকার থেকে ১৫ বছরে যে সম্মানী ভাতা পেয়েছেন তার সব টুকু অর্থ এলাকার গরীব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যয় করেছেন। সব মিলিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। চলমান এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চারঘাট-বাঘার জণগণ আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ শাহরিয়ার আলম কে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষতার ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলেও তারা মনে করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়