ইকবাল আহমেদ লিটন।
কালের স্বাক্ষী ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমিক শক্তিরন নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দুঃসাহসিক নিবেদিত দেশপ্রেমিক মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সহ সভাপতি ব্রিটিশ বিরোধী ঐতিহাসিক সলঙ্গা আন্দোলনের কিংবদন্তী জননেতা মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, সাধারণ সম্পাদক বিখ্যাত জমিদার টাঙ্গাইলের পন্নী পরিবারের আতংন্ক গণ মানুষের প্রান পুরুষ নিবেদিত দেশপ্রেমিক শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ প্রমুখ।
১৭৫৭ সালের এই দিন থেকে মীর জাফরদের সহায়তায়য় লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে স্বাধীনতার সূর্যকে অস্তমিত করা হয়। যারফলে বাংলার মা-জননীকে ২১৪ বছর বৃটিশ বেনিয়া শাষক গোষ্ঠী এবং পাকিস্তানের করতলে গত হয়ে থাকে। ১৯০ বছর পর বাংলার মানুষ মুক্তির স্বপ্ন দেখলেও তাতে মুক্তি আসেনি। বরং নির্যাতন এবং শোষনের হাত বদল হয়েছে মাএ।
বাংলার অস্তমিত স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে আনার জন্য বাংলার কিছু সূর্যসন্তান রোজ গার্ডেনে ২৩ শে জুন জননেতা হোসেন সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শামসুল হকের নেতত্বে, পূর্ব বাংলার জনগনের শাসক গোষ্ঠীর জাতিগত নিপীড়ন, শোষন,বঞ্চনা, বৈষম্য এবং অব্যাহত সৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাঙ্গালি জাতির মোহমুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ “।
জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সবার আবেগের স্থানে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটি আজও অবধি সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের এবং বাংলাদেশেকে বিশ্বের বুকে একটি আর্দশ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদলটির হাত ধরেই ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং সর্বোপরি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে ২১৪ বছরের শৃংখল হতে মুক্ত করে।
সম্প্রদায়িক ভাবধারার আচ্ছন্নতা কাটিয়ে ধীরে-ধীরে আত্মসম্বিৎ ফিরে পায় বাঙ্গালি জাতি। এর পটভূমিকায় বাঙালি জাতীয়তাবোধের স্ফূরণ, বিকাশ ও বাঙালি স্বতন্ত্র জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে জনচিত্তে প্রোথিত করা এবং অপ্রতিরোধ্য করে তোলার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ পালন করে নিয়ামক ভূমিকা।
এদলটি বাংলার মানুষের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে বারংবার ষড়যন্ত্র করেও তা থেকে মানুষকে আলাদা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুুর ত্যাগ, নির্যাতন, পরিশ্রম, কারাবন্দি থেকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল-তিল করে নিজ হস্তে গড়া এ সংগঠনটি আজ ও এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের রাজনীতি করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দলটি যেন নবপ্রাণ ফিরে পেয়েছে। প্রাণের স্পন্দন ও সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে স্বরণ করছি সেই সব বীর সন্তানদের, যাদের হাতে গড়া এই সংগঠনটি। স্বরন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সাধারণ মানুষের সাথে এক অভিন্ন করে দিয়েছেন।
পরিশেষে গৌরবের সাথে বলতে চাই ,ঐতিকহাসিক ২৩শে জুন আজকের দিনটি ,গৌরব,সাফল্যের, সংগ্রামের ,৭৩ বছর্ পূর্ণ হলো ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল হোক স্বার্থক হোক এই প্রাত্যাশায়।
জয় বাংলা – জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চিরজীবী হোক।
–লেখকঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ,ইকবাল আহমেদ লিটন,সদস্য সচিব আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ,উপদেষ্টা সম্পাদক বার্তা ২৪ টিভি.কম।