মণিরামপুরে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের ৩ মাসের মাথায় জীবন দিতে হলো অভয়নগরের কিশোরী গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন (১৬) কে। তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার প্রচার চালাতে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখার পর সেখান থেকে নামিয়ে গভীর রাতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রবের অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে। আটকের সময় র্যা বের উপর আক্রমণ চালায় একটি চক্র। এক পর্যায় নিহত ফাতেমা খাতুনের মাদকাসক্ত কথিত স্বামী সোহান হোসেন (২২) পুলিশের হাতে এবং সোহানের পিতা মিজানুর রহমান র্যা বের হাতে আটক হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত নববধু ফাতেমার পিতা ইয়াছিন শেখ বাদী হয়ে সোমবার মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার অভিযোগে আটকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি ও র্যা ব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: এম নাজিউর রহমান। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক ৩ মাস পূর্বে অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা এলাকার ইয়াছিন শেখের কিশোরী কন্যা ফাতেমা খাতুন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে মণিরামপুর পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র সোহান হোসেনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর প্রায় মাস দেড়েক তারা এলাকায় স্বামী স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়ে চললেও স্থানীয়দের মধ্যে অনেকটা সন্দেহ রয়েছে আদৌ তাদের বিয়ে হয়েছে কিনা। সম্প্রতি সোহান হোসেন ফাতেমার পিতার নিকট ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবী করে আসছে। উক্ত যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সোহান ফাতেমাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালাতো। নিহতের পিতা ইয়াছিন শেখের দাবী রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে তার কন্যা ফাতেমা খাতুনের উপর বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক সুরতহালে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখমের চিহ্ন মিলেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কিশোরী গৃহবধূ নিহত ফাতেমা খাতুনের শ^শুর পরিবারের দাবী সে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে।