মাঠবাড়িয়া নিজস্ব প্রতিবেদক
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় দেবীপুর ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় ০৩/০৮/ ২০২২ খ্রি. তারিখ রোজ রবিবার কর্মচারী নিয়োগে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।
কর্মচারী নিয়োগ কে কেন্দ্র করে অত্র মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল, মোঃ আলাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকের কাজ থেকে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।
এমনই একজন ভুক্তভোগী চাকুরি প্রত্যাশী মোঃ শাহাদাত, পিতা মোসলেম মিয়া, গ্রাম তেঁতুল বাড়িয়া, সাফা বন্দর, মঠবাড়িয়া তাদের অভিযোগ চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ভিটে বাড়ি ছাগল গরু সহ সব কিছু বিক্রি করে চাকুরীর আশায় ভাইস প্রিন্সিপাল এর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা, এবং আড়াই কেজি মিষ্টি দিছি , তিনি বলছেন চাকুরি দেবেন , এখন আমার ছেলের চাকুরী হলো না, আর সব কিছু শেষ করে আমরা এখন নিঃস্ব আর চাকুরির জন্য টাকা নিছে তা দায় নাহ, তাই আমরা সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিছি তিনি বলছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
আরেক ভুক্তভোগী চাকুরী প্ৰত্যাশী মোসা:-রেহেনা বেগম, পিতাঃ বাদশা মোল্লা, গ্রামঃ বাশবুনিয়া,সাফা বন্ধর, মঠবাড়িয়া, তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন ভাইস প্রিন্সিপাল আমাকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাজ থেকে ৩৩ হাজার টাকা নিছে এখন আমার চাকুরী হয় নি, আর টাকা ও দায় নি, আজ নাহ হয় কাল দেব বলে গুঁড়ায়, তিনি আরও বলেন আমি এই দুর্নীতি বাজ শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই।
ওপর এক ভুক্তভোগী চাকুরী প্রত্যাশী মোঃ রেদোয়ান, পিতাঃ মোঃ ফারুক দফাদার তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে ভাইস প্রিন্সিপাল দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিছে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে কিন্তু আমার চাকুরি হয়নি, তিনি টাকা নিয়ে বাথরুম পাকা করছেন, আর টাকা দিতে এখন গড়িমসি করে ।
এ নিয়োগের ব্যাপারে অত্ৰ এলাকায় খোঁজ নীলে এলাকার অনেক লোক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এর আগের নিয়োগে ও এই রকম টাকা পয়সা নিয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন, আর এখন কর্মচারী নিয়োগে অনেকের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিছে তারা টাকা চাইলে টালবাহানা করে আজ নাহ হয় কাল দিবো বলে চাকুরী প্রত্যাশীদের গুড়ায়, তিনি একজন দুর্নীতি বাজ শিক্ষক, তারা আরও বলেন এই দেবীপুর ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা অত্ৰ মঠবাড়িয়া উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তিনি এই মাদ্রাসার ভাব মূর্তি নষ্ট করছে, এটার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে জানার জন্য অত্ৰ মাদরাসার প্রিন্সিপাল সাহেব কে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে অত্র ৩ নং মিরু খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আবু হানিফ সাহেবের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি শুনেছি ভাইস প্রিন্সিপাল সাহেব টাকা পয়সা নিছে এবং চাকুরী প্রত্যাশী সভাপতি কাছে লিখিত অভিযোগ দিছে এবং সভাপতি কে বলা হইছে এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে অত্ৰ মাদ্রাসার সভাপতি, এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পাইছি, এবং অভিযোগের ভিক্তিতে অত্ৰ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ আলাউদ্দিন সাহেব কে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি, নোটিশের জবাব পাইলে, এবং তদন্ত করে দুষী সাব্যস্ত হলে বিভাগীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
অত্ৰ নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ ব্যপারে আমার জানা নেই অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।