রাসেল রানা জামালপুর
সদর উপজেলা তুলশিরচর ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ড কাজিয়ারচর গ্রাম এর এক মাত্র যাতায়াত পথ হলো মাটির রাস্তা।
কাজিয়ারচর /ডিগ্রীর চর / হনুমানচর এর সব মানুষ জন কাজিয়ারচর হয়ে নদী পথে নরুন্দিতে যাতায়াত করে।
কিন্তু গত ২ বছর ধরে কাজিয়ারচর এর ডুকার মূলপথ রাস্তা টা নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
যে কারনে ঐ এলাকার মানুষ গুলো এখন যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আর নদীর পাশেই রয়ছে প্রায় ৪০/৫০ টি পরিবার যারা প্রায় কয়েকশ বছরে ধরে তারা ঐ জায়গায় বসবাস করছে।
প্রায় ২ বছর ধরে নদী ভাঙ্গেনে এর কারনে নদী ঘর এর কাছে এসে পড়ছে।
আজ সকাল ৮ টার সময় সরজমিনে এ গিয়ে দেখা যায় যে গত ২/ ৩ দিন ধরে নদীর পানি বাড়ার কারনে নদী ভাঙ্গন বেড়ে গিয়েছে। আজ সকালে প্রায় ঘর এর পিরার কাছে এসে পড়ছে।
যা যে কোন সময় ঘর নদীর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।
যে কারনে তাদের সারা রাত জেগে থাকতে হচ্ছে।
তাদের সাথে কথা বললে জানা যায়, যে আমরা অনেক চিন্তার মধ্যে আছি।
এই ঘর বাড়ী ভেঙ্গে গেলে আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াবো।আমাদের ৪/৫ প্রজন্ম এই খানে বসবাস করে এসেছে।। এখন আমরা কোথায় গিয়ে থাকবো।আমাদের পরিবার / গরু/ ছাগল / মহিষ কোথায় গিয়ে দাড়াবো। আমরা এখন হুমকির মুখে পড়ে আছি কখন জানি ঘর টা নিচের দিকে ডুকে যায়।
আমাদের কয়েক টা ঘর হেলে গেছে।।খুব চিন্তায় আছি সামনের সকল আবাদি জমি গুলো নদীতে ভেঙ্গে গেছে এমনিতে পরিবার নিয়ে চিন্তায় আছি।
আবার ঘর বাড়ী গুলো ভেঙ্গে গেলে আমাদের পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।
গত ২ বছর হলো আমাদের বাড়ীর দিকে নদী ভাঙ্গছে এবং রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে চেয়ারম্যান কে বিষয় টা জানানো হয়েছিলো কিন্তু তিনি ২ বছর এর মধ্যে এক দিন ও দেখতে বা তার কোন প্রতিনিধি পাঠাই নাই।
রাস্তা না থাকায় মানুষ জন চলাচল করতে পারে না।স্কুল কলেজে এর ছাত্র ছাত্রী চলাচল করতে পারছে না।।।
এতে করে শিক্ষার উপর প্রভাব পড়ছে।
তারা বললে যে এখন শুধু মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ছাড়া আর কোন আস্হা নাই। আমাদের এই রাস্তা ও বাড়ী ঘর গুলো রক্ষা করতে পারবে।।
সরকার এর কাছে আমাদের আকুল আবেদন যে আমাদের রাস্তাঘাট এবং বাড়ী ঘর গুলো যাতে নদীতে না ভাঙ্গে তার যে কোন একটা একটা ব্যবস্হা করে দিবেন।
আমাদের পরিবার সন্তান গুলো নিয়ে যাতে এই খানে বসবাস করতে পারি।।