1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
দোয়ারা বাজারে একাডেমিক যোগ্যতা ছাড়াই স্বার্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিলো ইমাম, - Barta24TV.com
সকাল ৬:২২, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারা বাজারে একাডেমিক যোগ্যতা ছাড়াই স্বার্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিলো ইমাম,

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, অক্টোবর ৩, ২০২২
  • 276 Time View

নিউজ ডেস্কঃ চরম উত্তেজিত এবং বিতর্কিত হকনগর শহিদ মিনার এক গম্বুজ মসজিদের অযোগ্য ইমাম।

সুনামগঞ্জ দোয়ারা বাজার ১নং বাংলা বাজার ইউনিয়নের বাশতলা কলোনি এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননায় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের করব যিয়ারতের নিয়্যাতে ৫নং সেক্টরে গড়ে উঠেছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট এক মসজিদ।
আর সেই মসজিদে রীতিমত নামাজ আদায়ে এলাকাবাসী বিব্রত, মসজিদ তৈরী করা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত একজন যোগ্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়নি। যার ফলে এলাকার বাসিন্দারা এই মসজিদে নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। এবং এই মসজিদে কেউ কখনো যায়ইনি নামাজ পড়তে, তার একটি মাত্র কারণ এখানে কখন যোগ্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়নি। ২০১২ সালে প্রায় ২০ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে ব্যয়বহুল এই মসজিদ টি নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদ টি নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় মেম্বার এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলার সুবিধাবাদী সরকারি কর্মকর্তারা।

এই মসজিদের সূচনালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন একাডেমিক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ধার্মিক স্বয়ংসম্পূর্ণ সাব্যস্ত ইমাম নিযুক্ত করা হয়নি বলে দাবী জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
একজন নব্বই দশকের বিজ্ঞ লোক বলেন, এই মসজিদের ইমাম এমন হয়ে গেলো যে নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালা, তারপর তিনি আরও বলেন, মাগনা পাইলে আলকাতরাও ভালা এরকম ইমাম রাখা হয়েছে, ইমামতী না জানা এক অশিক্ষিত অবুঝ শিশু কে নিয়োগ ছাড়াই ইমাম হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে , এটা আসলে ন্যাক্কারজনক ব্যপার, এরকম সিদ্ধান্ত কে আমি ধিক্কার জানাই, এবং তিনি আরও বলেন এসব কিছু হলো কেয়ামতের আলামত, মসজিদের সংখ্যা বেড়ে যাবে, মুসল্লীর সংখ্যা কমে যাবে। গড়ে গড়ে পারায় পারায় মসজিদ হবে কিন্তু নামাজির সংখ্যা কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে এলাকার সবচেয়ে বড় অপরাধী ব্যভিচারী জুলুমকারী জালিম কে, অন্যায়কারী অত্যাচারী স্বৈরশাসক সুদখোর ঘুষখোর মদখোর হারামখোর বেইমান নাফরমান মুনাফিক চিটার বাটপার দেখে দেখে, যাদের ঈমান আকিদা ঠিক নেই এসব লোকজন কে কমিটির প্রধান দায়িত্বশীল পদে পরিচালনায় রাখা হবে। আর এর ফলে সমাজ পরিবার এলাকা দে-শ আস্তে ধিরে ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই মসজিদের প্রথম ইমাম ছিল এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া, মিজান মিয়া বলেন, আমি কোন রকম একাডেমিক সার্টিফিকেট ছাড়াই শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই আমার বাবার অবদানে এখানে ইমামতী করতে পেরেছি, তবে হ্যাঁ আমি কিছু দিন কাওমী মাদ্রাসায় হাফেজি পড়েছি আর তা দিয়েই ইমামতী করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, ইমামতী করতে এতো কিছু জানা লাগে না,অল্প কিছু জানতে পারলেই চলে। তারপর কিছু দিন যেতে না যেতেই তিনি চুরির দায়ে মদ জোয়ার দায়ে নারী কেলেংকারীর দায়ে বিভিন্ন অপবাদ অভিযোগের দায়ে ইমামতী ছাড়তে বাধ্য হন।

এরপর থেকে প্রায় ৬/৭ যাবত এই মসজিদ টি বন্ধ ছিল, তালাবদ্ধ করে রাখা ছিল। এই মসজিদে কেউ কখনো আসতো না, নামাযের অনুপযোগী ছিল, ময়লা আবর্জনার স্তূপ ছিল,স রক্ষণশীল পরিচর্যাকারী কেউ ছিল না।

এবার দ্বিতীয় ইমামের নেতৃত্বে চলবে এই মসজিদ টি, কলোনি গ্রামের পুরাতন মসজিদের ইমাম নুরুদ্দিনের ছেলে মাহবুব আলম সে এ’নো লেখা পড়া শেষ করতে পারেনি, তারও নেই কোন সার্টিফিকেট নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং বয়েসও অল্প, সে সবেমাত্র কিশোর হয়েছে। তাকেই ইমাম হিসেবে নিয়োগ ছাড়াই নিযুক্ত করা হয়েছে, শুধু মাত্র অর্থের লোভে। সে এখন বর্তমানে সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকার একটি কাওমী মাদ্রাসা আংগুরা মুহাম্মাদিয়া জামেয়া হাফিয়ার একজন নিয়মিত ছাত্র।
এই একি এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন,লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু, লোভ করে অধিক পরিমাণে চালাকি করে চক্রান্ত করে
তার বাবা কিছু মানুষকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এখানে ইমাম বানিয়েছে। আসলে মুলত সে ইমামতীর যোগ্য ছেলে না, তার এখনো ইমামতীর বয়েস হয়নি, বলে এক বৃদ্ধ এমন মন্তব্য করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category