1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
দোয়ারাবাজারের বাঁশতলায় দীর্ঘদিন ধরে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ম’সজিদে তালাবদ্ধ, - Barta24TV.com
সকাল ৬:০৫, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারের বাঁশতলায় দীর্ঘদিন ধরে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ম’সজিদে তালাবদ্ধ,

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, অক্টোবর ১১, ২০২২
  • 818 Time View

ইয়াছিন আলী খান দোয়ারা বাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধের ৫নং সাবসেক্টর বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃ’তিসৌধ ও পর্যটন রেস্ট হাউস জামে ম’সজিদে আগাছা কচু’রিপানা, ঝোপঝাড় আর শ্যাওলার আস্তরণে ভরপুর। দেখে মনে হয় যেনো এটি পরিত্যক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক কোন এক স্থাপনা, মসজিদ নয়।

জানা যায়, ২০১৩ সালে সরকারি অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়। নির্মাণের পর দুই বছর ম’সজিদটি ব্যবহৃত হলেও প্রায় ৭ বছর ধরে তালাবদ্ধ। আযান-বাতি কিছুই না থাকা তালাবদ্ধ মসজিদটিতে স্থানীয় মুসল্লিসহ আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা নামাজ আদায় করতে পারছেন না।

স্থানীয়রা জানান, শহীদ স্মৃ’তিসৌধ ও পর্যটন রেস্ট হাউসের পাশে আট বছর আগে ওই মসজিদটি নির্মাণের পর টানা দুই বছর রেস্ট হাউসের একজন কেয়ারটেকার নিজ দায়িত্বে নামাজ পড়ান। পরবর্তীতে তিনি চলে গেলে প্রায় ৭ বছরেও মসজিদটি দেখবালের জন্য আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অযত্নে অবহেলায় তালাবদ্ধ এই মসজিদটি এখন বেহাল অবস্থায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকেই আবার মনে করেন এটি হয়তো পরিত্যক্ত ও প্রত্নতাত্ত্বিক কোন এক স্থাপনা। হয়তো মুক্তিযুদ্ধকালীন মসজিদ।

আগত দর্শনার্থী নাইমুর রহমান ও আরাফাত আলী একইসাথে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বাঁশতলা পর্যটন এলাকায় ঘুরতে এসে ম’সজিদ তালাবদ্ধ দেখে মনে হয়েছে পরিত্যক্ত ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। কিন্তু স্থানীয় একজনকে জিঙ্গাসাবাদে জানতে পারি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ম’সজিদে ই’মাম-মুয়াজ্জিন নেই। ইমাম-মুয়াজ্জিন না থাকায় আজান ও নামাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, তিনি আসতেই আছরের নামায ওয়াক্ত শুরু হয়। মসজিদ তালাবদ্ধ
থাকায় নামাজ আদায় করতে পারেন নি। নিয়মিত নামাজিরা কোথায় গিয়ে নামাজ আদায় করে তাও জানা নেই।

স্থানীয়রা আরও জানান, অযত্নে আর অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় মসজিদের মূল্যবান সম্পদ ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে।
বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ ওই ম’সজিদটি চালু করার দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, আমার জানা মতে দুইজন গ্রামপুলিশের মাধ্যমে রেস্ট হাউস ও মসজিদ দেখবাল করা হচ্ছে। তবে ম’সজিদটি তালাবদ্ধ অবস্থায়ই পড়ে আছে শুনেছি। উপজেলা পরিষদ না ইউপি পরিষদ মসজিদ দেখবাল করবে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানা নেই, উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category