দোয়ারাবাজারে সুরমা ইউনিয়নের উপ নির্বাচনে
নৌকার ‘বিরুদ্ধে’ ইউনিয়ন আ.লীগের নেতারা
দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ):
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দল মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে মাঠে নামার অভিযোগ উঠেছে সুরমা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম আর্মি ও ইউপি সদস্য হাছন আলী দুঃখু’র বিরুদ্ধে।
এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাজুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আ”লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক সুরমা ইউনিয়নেন চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর অর রশীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম আর্মি ও বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশীদের অবস্থান নিয়েছেন আ”লীগ নেতা ইউপি সদস্য হাছন আলী দুঃখু।
অভিযোগ খন্দকার মামুনুর অর রশীদ ও হারুন অর রশীদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন। এই ছবি গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এনিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
উল্লেখ্য গত (২১ সেপ্টেম্বর) এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীকের মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ৩ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১১ ডিসেম্বর এবং আগামী ২৯ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সুরমা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাজুল ইসলাম বলেন,আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। সেই প্রতীক নৌকা ডোবাতেই তৎপর হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম আর্মি ও ইউপি সদস্য হাছন আলী দুঃখু।
অভিযোগের বিষয়ে সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম আর্মি বলেন,
আমি আওয়ামীলীগ করি,আমি দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। সুরমা ইউপির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের জনপ্রিয়তা না থাকায়, আমি তার নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছি সত্য,তবে আমি বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করছিনা। আমি আওয়ামিলীগ নেতারই নির্বাচন করছি।
ইউপি সদস্য হাছান আলী দুঃখু বলেন,
আমি বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করছিনা। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করতেছি। তাছাড়া বিএনপিতো নির্বাচন করছেন ওইনা। আমি মুহিবুর রহমান মানিক এমপির নির্দেশনায় নৌকা প্রতীকের পক্ষেই নির্বাচন করব। এমপি সাহেব আমাদেরকে এসএমএস করেছেন উনি আমাদেরকে নিয়ে বসবেন।
বিএনপির প্রার্থীর সাথে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ৮নং ওয়ার্ডের ৯৯% মানুষই হারুন অর রশীদের পক্ষে নির্বাচন করছেন। তারা সেদিন আমাকে ঝুরপুর্বক নির্বাচন অফিসে নিয়ে গিয়েছেন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলার আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফরিদ আহমদ তারেক বলেন, ‘কেউ নৌকার বিরোধিতা করলে তিনি বহিষ্কার হবেনে, এটা নিশ্চিত।