দোয়ারাবাজারে ভাই ভাইয়ের পুরুষাঙ্গ কামড়ে রক্তাক্ত জখম ।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে হাত-প বেঁধে ভাই ভাইয়ের পুরুষাঙ্গ কামড়ে রক্তাক্ত জখমী করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের সাহেবের গাঁও গ্রামে। ঘটনার সুস্থ বিচার এবং ৬ ভাইয়ের অত্যচার থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে আহত জালাল উদ্দীন ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা বেগম সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
উল্লেখ্য, জালাল উদ্দীন উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের সাহেবের গাঁও গ্রামের সুরকুম আলীর পুত্র। তারা ৭ ভাই।
লিখিত বক্তব্যে আহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, আমার স্বামী জালাল উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভোগছেন। ৭ ভাইয়ের সংসারে পৃথক থেকে দিনমজুরী করে সংসার চলে। ভাইদের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি স্বামীর বড় ভাই মৌলানা কারী মোঃ বিলাল উদ্দীনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মৌলানা কারী মোঃ বিলাল উদ্দীন আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে রশি দিয়ে হাত-প বেঁধে রাখে এবং আরেক ভাই কামাল উদ্দীন চরম উত্তেজিত হয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কামড়ে দেয়। মুহূর্তেই তিনি গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতাল থেকে ফিরে এখন স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি। এখনও আমাদের নিরাপত্তা নেই। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলতে পারে।
আহত জালাল উদ্দীন বলেন, আমার ভাইয়েরা আমাকে ভিটে ছাড়া করতে চায়। সাধারণ কিছু হলেই ৬ ভাই এক হয়ে মারধর করে। আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে তারা। আমার নিরাপত্তা নেই। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার এবং নিরাপত্তা চাই। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর বলেন আমি অসহায় পরিবারের লিখিতভাবে অভিযোগ পেয়েছি এবং সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে থাকে উদ্ভার করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য, এবং সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।