1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
দোয়ারাবাজারে কেন্দ্র ফি'র নামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এলাকাজুড়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া - Barta24TV.com
বিকাল ৩:৩২, সোমবার, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে কেন্দ্র ফি’র নামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এলাকাজুড়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
  • 358 Time View

দোয়ারাবাজারে কেন্দ্র ফি’র নামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এলাকাজুড়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

দোয়ারাবাজারে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান, কেন্দ্র সচিব এবং উপজেলার রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজ, বড়খাল স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছেন শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, কেন্দ্র ফির নামে অতিরিক্ত এবং ডাবল টাকা আদায় করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন বড়খাল স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি জবাব দেননি। আমাদের রেখেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
একাধিক অভিভাবকরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছিল ১৭শ’ ৮০ টাকা, তন্মধ্যে ফরম পূরণের সময় কেন্দ্র ফিসহ নেওয়া হয় ২৯ শত টাকা করে। ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার পরও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পূর্বে আবার কেন্দ্র ফি বাবত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আরও ৭শ’ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বড়খাল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে এবার এইচএসসি’র মোট পরীক্ষার্থী ৩৩২ জন। এরমধ্যে রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজের পরীক্ষার্থী ১০৬ জন।
শিক্ষার্থী অভিভাবক ও বোগলা রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজের গভর্নিংবডির সদস্য হাবিবুর রহমান শেখ চান জানান, ফরম পূরণের সময় তিন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪শ’ টাকা করে কেন্দ্র ফি নিয়েছেন। পরবর্তীতে কেন্দ্র ফির নামে আরও ৭শ’ টাকা করে নিয়েছেন। আমি নিজেও ৭ শ টাকা দিয়েছি। বোগলা রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজ প্রধান এবং কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ যোগসাজশে অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন। আমরা জানতে আসলে বড়খাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ নজীর আহম্মদ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান। অতিরিক্ত ৭শ টাকা কিসের নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রশাসনিক তদন্ত করে অভিভাবকদের ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।
জাহাঙ্গীর গাঁও গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক আব্দুছ সালাম বলেন, ফরম পূরণের সময় কেন্দ্র ফিসহ টাকা নেওয়া হলেও পরবর্তীতে আরও ৭শ’ টাকা নিয়েছেন।
ছনুগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, কেন্দ্র ফি বাবত ৭ শ’ টাকা চেয়েছিলেন আমি ৬শ টাকা দিয়েছি।
বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি’র নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
জানতে চাইলে বোগলা রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল অতিরিক্ত ৭শ টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমরা দিয়েছি। বিভিন্ন খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বড়খাল স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ নজীর আহম্মদ জানান, আমরা বোর্ড নির্ধারিত টাকা নিয়েছি। অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্দেশনা দিয়েছি সরকারের নির্ধারিত ফির বাইরে যেন কোন টাকা নেওয়া না হয়। যদি অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়ে থাকে এবং কোন অভিভাবক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে খতিয়ে দেখে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।