1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
তেঁতুলিয়ার পাথর খেকোদের দখলে ডাহুক নদী নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, ধ্বংস হচ্ছে জমি, - Barta24TV.com
দুপুর ২:৪৯, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেঁতুলিয়ার পাথর খেকোদের দখলে ডাহুক নদী নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, ধ্বংস হচ্ছে জমি,

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, আগস্ট ১৯, ২০২২
  • 246 Time View

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার ডাহুক নদী এখন পাথর খেকোদের অভয়াশ্রম হয়ে দাড়িয়েছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে বিক্ষিপ্তভাবে ট্রাক্টর দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী
কজন। ফলে নদী যেমন তার চিরচেনা রুপ, বৈচিত্র্য হারাচ্ছে। তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে নদী সংলগ্ন ব্যাক্তিগত জমি ও বাগান। ফলে দিন দিন নদী তার গতিপথ পাল্টে ভিন্ন দিকে ঘুরে যাচ্ছে। বর্ষাকাল হলেও নদীতে তেমন পানি নেই। নদীর পানি কমে চরের তৈরী হচ্ছে। নদী গভীরতা হারিয়ে প্রশস্ত হচ্ছে। যার কারণে বর্ষাকালে একটুতেই নদীর পানি বেড়ে দুকূল ভরে যাচ্ছে। সেই পানিতে স্থানীয় ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
গেল সোমবার (১৫ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বালাবাড়ি-সরকার পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাহুক নদীতে ট্রাক্টর দিয়ে নদীতে গভীর গর্ত করে বালু তুলছেন স্থানীয় লোকজন। এতে করে নদী তার চিরচেনা রুপ হারিয়ে চরে পরিণিত হচ্ছে। কমছে পানি প্রবাহ। নদীর প্রশ^স্ত বেড়ে কমেছে গভীরতা। নদীর দুই তীর ভেঙ্গে অনেকে জমি-বাগান হারিয়েছে।
নদীতে জমি ও বাগান হারানোদের একজন উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের নাজিরাগছ এলাকার আফরোজা বেগম। শালবাহান ইউনিয়নের বালাবাড়ি মৌজার ১৮১৯ দাগে ৮০ শতক ও ১৮২০ দাগে ৩৩ শতক জমি আছে তার। এর মধ্যে ডাহুক নদীতে ওই মৌজার তার অনেক জমি চলে গেছে। সেই সাথে তার একটি মেহগনি গাছের বাগানের একটি অংশ নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ওই এলাকার নদীর বর্তমান গতিপথ প্রবাহিত হচ্ছে তার জমির উপর দিয়ে। পাথর খেকোরা বর্তমানে নদী থেকে পাথর তুলে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহে বাধাঁ সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপরেও থেকে নেই নদী থেকে পাথর উত্তোলন। অভিযোগ দায়ের করায় উল্টো তাকেই শাসাচ্ছে পাথর খেকোরা।
ভূক্তভোগী আফরোজা বেগম জানান, নদীর বর্তমান গতিপথ আমার জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শালবাহান ইউনিয়নের বালাবাড়ি মৌজার ১৮১৯ দাগে ৮০ শতক ও ১৮২০ দাগে ৩৩ শতক জমির খাজনা আমি প্রতিবছর সরকারকে দিয়ে আসছি। জমির রেকর্ডও হচ্ছে আমার নামে। এছাড়া নদীর পাশ^বর্তী এলাকায় আমার স্বামীর অনেক জমি রয়েছে। সেগুলোরও খাজনা দেয়া হয় নিয়মিত। কিন্তু প্রতিদিন ডাহুক নদীর বালাবাড়ি-সরকার পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে পাথর তোলা হচ্ছে। এতে করে নদীর পাড় ভেঙে আমার জমি ও মেহগনি গাছের বাগান দিন দিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের জলিল, হিমু, মস্তান, হাসান সহ ১৫ থেকে ২০ জন নদীর ওই অংশে পাথর উত্তোলন করছে। তারা মুলত সন্ত্রাসী, নদী খেকো, ড্রেজারের হোতা। আমি তাদের পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে বললে তারা আমাকে উল্টো শাসায়, হুমকি দেয়। পরে আমি তেতুঁলিয়া সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। পরে আদালত ওই জমির উপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু এতেও থেমে নেই তারা। আমি এই দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, আমরা ঘটনাটি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। নদীর ওই অংশে যদি আবারো পাথর উত্তোলন করে স্থানীয় লোকজন। তাহলে আদালতের আদেশ না মানার কারণে ওই জমির মালিক যদি আদালতে ১৮৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে তাহলে আদালত থেকে যে নির্দেশনা আসবে আমরা সেটা পালন করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category