1. abkiller40@gmail.com : admin : Abir Ahmed
  2. ferozahmeed10@gmail.com : moderator1818 :
ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরের আত্মহত্যার চেষ্টা, দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার সুমন - Barta24TV.com
রাত ১:২১, বুধবার, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরের আত্মহত্যার চেষ্টা, দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার সুমন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
  • 333 Time View

 মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লোকমান (১২) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে যেতে না পেরে পরিবারের সাথে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে ওই কিশোর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। সেই কিশোরকে হাসপাতালে দেখতে যান ব্যারিস্টার সুমন। এসময় লোকমানের খেলাধুলা ও পড়াশোনার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন ব্যারিস্টার সুমন। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই কিশোরকে দেখতে যান ব্যারিস্টার সুমন। এসময় তিনি কিশোরের দাদির হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন এবং কিশোরের পড়াশোনার সকল দায়িত্ব বহনের কথা জানান। রোববার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠে মুখোমুখি হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও রানীশংকৈলের সোহেল রানা ফুটবল একাডেমি। জানা যায়, ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির ফুটবল খেলা দেখতে যেতে লোকমান দুই’শ টাকা চেয়েছিল তার পরিবারের কাছে। খেলা দেখতে যেতে তাকে পরিবারের কেউ টাকা না দেওয়ায় অভিমানে সন্ধ্যায় লোকমান বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। লোকমান উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বারসা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সঞ্জিব কুমার রায় জানান, বর্তমানে লোকমানের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, লোকমানের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ১০ হাজার টাকা তার পরিবারকে দিয়েছি ও পরবর্তীতে তার পড়াশোনার জন্য ও খেলাধুলার খরচ আমাদের একাডেমি বহন করবে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আসলে এই বয়সে ছেলে-মেয়ে গুলো একটু অভিমানী হয়। কিন্ত তাও এ বিষয়টিতে আমার খুব খারাপ লেগেছে। এটা তার পরিবারেরও দোষ না। কারণ তার পরিবার খুব দরিদ্র তাই টাকা দিতে পারেনি। আমরা যদি সুস্থ ধারার কাজ করে সমাজটাকে গড়তে পারি ও ভালো কাজ করি তাহলে অবশ্যই মানুষের সারা পাওয়া যাবে। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে এসে আমার এতো ভালো লেগেছে যে আমি অনেক জেলা ঘুরে বেড়িয়েছি কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের মতো এতো ভালো মানুষ কোথাও দেখিনি ও পাইনি। এখান থেকে যাওয়ার আগে আর একটি কথা বলতে চাই যে, ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দরটি এখন শুধু আমার কাছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের দাবি নয়। আমার কাছে মনে হয়েছি এটি যৌক্তিক দাবি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এই বিমানবন্দরের জন্য আন্দোলন করে যাব। কারণ ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে আমি আত্মীয় মনে করি। আত্মীয় মানে সুখে দুঃখে পাশে থাকা। যেভাবে সিলেটে বন্যার সময় ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তেমনি ভাবে এখানকার মানুষ কোনো বিপদে পড়লে আমরা সিলেটবাসীও আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। আর আপনারা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ও আপনাদের এই সম্পর্ক আমি দীর্ঘদিন লালন করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎নাটোরে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলো কলেজের মাস্টার হারুন ‎ ‎মো: রেজাউল করিম ‎নাটোর জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎গভীর নলকূপের হিসাব লইয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা লইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে হারুন অর রশিদ ও তার গ্রুপ। আমি মো: রেজাউল করিম, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি।এছাড়াও নাটোর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তখন আমি সাংবাদিক হিসাবে সেখানে খবর তৈরীর জন্য গেলে গত ০৬/০১/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় চন্দনপুর ঈদগাঁ এলাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এই  হারুন ও তার আসামী সহ তাহার পালিত অন্য আসামীগন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেখিয়া প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামীগণের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র যেমন- বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া লইয়া আমাকে মারপিট, খুন জখমের জন্য আক্রমণ করে। আমার সহিত ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা পারসন মোহন আমাকে উদ্ধারে আগাইয়া আসিলে তামিম,হাসান ও হিমেল মোহনের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং মোহনের মোবাইল ফোন ও তাহার পকেটে থাকা নগদ ৬,৫০০/= টাকা কেড়ে নেয়। এই সময় আসামীগন আমার উপর মারপিট করিয়া আমার পকেটে থাকা আশা সমিতির কিস্তির ৯,৭৫০/= টাকা আসামীগন বাহির করিয়া নেয়। ইহাতে আমার চোখের উপর ফোলা কালশিরা, কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ও আমার ক্যামেরা পারসন আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আসামী আমাকে মারপিট, খুন জখম করিতে না পারিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, “ভবিষ্যতে যদি আর কখনও তোকে আমার এলাকায় দেখি, যেখানে পাইবো সেখানেই মারপিট, খুন জখম করিবো” মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারিত হইলে আমার ১ কোটি টাকার মান-ইজ্জত হানি হইয়াছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে আমার পেশাগত মানহানিও হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে হয়রানি করবে বলে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ঘটনার সাক্ষী আছে, আমি বিচার চাই। ‎ ‎ উপস্থিত গ্রামবাসির নিকট, সাক্ষীদের নিকট ও আমার পেশাগত কলিগ ও সাংবাদিকদের নিকট মানহানি হয়েছে। প্রায় ১০০ জন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ‎ ‎৫০০/৫০৬(11)/৪৯৯/৫০৪/৫০৩/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামীগনের বিরুদ্ধে আদেশ দ্বারা পুলিশ দ্বারা ধৃত করতঃ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখিয়া সাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন সাংবাদিক  মো: রেজাউল করিম। ‎ ‎এই মামলার তদন্ত পিবিআই কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়

পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) নওগাঁ পত্নীতলায় উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সন্জিত কুমারকে জেল ও অপর ভুয়া ডাক্তার রতন কুমারকে ৫০ হাজার ও ক্লিনিকের পরিচালক প্রদিপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকনিরখীন ঠুকনি পাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার রতন কুমার মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, নজিপুর পুইঁয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারি সনদপত্রের প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় সন্জিত কুমারকে ২ মাসের জেল এবং ক্লিনিকের পরিচালক প্রদীপ কুমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর। এ সময় সাথে ছিলেন এন এস আই নওগাঁর উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামীম হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা প্রমূখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবীর বলেন, রোগীদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলা করতে দেওয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।