মো. সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ; ঠাকুরগাঁও: ০৮ জুন ২০২২, ‘কালো মাছি’ চাষে সুদিন ফিরেছে মোমিনুলের টিন শেডের এক ঘর। এর মধ্যে একটি মশারি। তার ভিতরে কালো রঙয়ের অসংখ্য মাছি। মশারির ভিতরে মাছি ছাড়াও রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন রঙয়ের ডিস ও বালতি। সেগুলো নেট দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। তার ওপরে রাখা হয়েছে কাঠের ছোট ছোট টুকরো। এক সময় মাছিগুলো নিজেদের প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেই কাঠের টুকরোতে গিয়ে ডিম পারে। আর সেই ডিম ৮-১০ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করে আবার অন্যত্র আলাদা প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে লার্ভা তৈরি হয়। ১৫ দিনের মধ্যে লার্ভাগুলো পোকার মতো হয়। সেই পোকাগুলোকে পরিষ্কার করে খাওয়ানো হয় হাঁস, মুরগী ও মাছকে। এমনকি যে মাছিগুলো মরে যায় সেগুলোও মুরগীর খাবার বা ফিড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর লার্ভাগুলোকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয় মুরগীর নাড়িভুঁড়ি বা পচা যে কোনো ধরনের নষ্ট বর্জ্য। বলছিলাম ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ বা কালো মাছি চাষ সম্পর্কে। সম্প্রতি এই মাছি চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন মোমিনুল ইসলাম। এই মাছি চাষ করে তার সুদিন ফিরেছে। সদর উপজেলার ৫ নম্বর বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মোমিনুল।