মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ;
মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার উপ –সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফেরদৌস খানের বিরুদ্ধে ঘোষ বাণিজ্যের অভিযোগ ।
আরো বিভিন্ন দূর্নীতি-অনিয়ম অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী । ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নেে ৭৫ টি সিটে প্রথম পর্যায়ে মাঠ পর্চা হয় ২ য় পর্যায়ে ৩০ ধারার প্রায় ৫৫৬৯ টি আপিল মামলা হয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী সেটেলম্যনট অফিসার তথ্য মতে জানা যায়, মামলার শুনানি শেষে প্রায় ১২০০ শুনানির জন্য রয়েছে।
এ কাজের জন্য ৫ জন কর্মকর্তা কাজ করছে। মামলা শুনানির দায়িত্বে থাকা এক উপ –সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি অনিয়ম সহ ঘোষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জমির মালিক হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে, লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন অভিযোগকারী জামিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ভবানন্দপুর মৌজাস্থ , দাগ নং-৩০৩ এর ৩ একর ৩৭ শতক জমির মধ্যে ৭৯ শতক জমি আমার বাবা মহির উদ্দীন ও মাতা জেসমিন আক্তার এর নামে ৩৪৯ নং — ডিপি খতিয়ান অন্তর্ভূক্ত আছে।
আমার চাচা মোঃ নজরুল ইসলাম জমি দাবী করে হরিপুর সেটেলমেন্ট অফিসে দুটি আপত্তি মামলা করেন কেস নং– ৩১২ ও ১৪৮। তাদের আদালতে মামলা শুনানির কথা বলে, ৮ টি তারিখ পরিবর্তন করে আমাদের এযাবৎ হয়রানী করছে।
হয়রানী থেকে মুক্ত পেতে টাকা দাবী করায় ৫ হাজার টাকা প্রদানও করি এর পরে আবারো ২ লক্ষ্য টাকা দাবী করেন । তানা হলে আমাদের জমি নুজরুল ইসলামে নামে রেকর্ড করে দিবে । সরজমিনে সাংবাদিকদের কে অভিযোগ করে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান জানান, আমরা কষ্ট করে দেশস্বাধীন করেছি এখন এই সেটেলমেন্ট অফিসার এর কাছে আমরা জিম্মি।
আমার জমির জন্য আমাকে হয়রানি করছে । ৫ নং –ইউনিয়ন এর ভ্যানচালক মিজানুর অভিযোগ করে বলেন, আমার সামান্য ৪ শতক বসত ভিটামটি আমি দিন আনি দিন খেয়ে চলি।টাকা না দিলে আমারা পর্চা দিবে না । তাই মানুষের কাছে কর্য্য করে টাকা দিয়ে ঐ অফিসার এর কাছে পর্চা নেই ।
একই ইউনিয়নের ফজলুল হক পিতা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করে বলেন, আমার পর্চার কাগজ পেতে সেটেলমেন্টের ঐ অফিসারকে ৬০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। আরেক অভিযোগ কারি আরফান আলী জানান, জমির সমস্যার কথা বলে, রফিকুল এর মাধ্যমে আামার জমির কাগজ পর্চা নিতে প্রায় এক লক্ষ টাকার মতো আামার কাছে নিয়েছে।
১ নং –ইউনিয়ন এর গেদুরা কাঠাল ডাংগী গ্রামের মজিবর রহমান জানান ৬২ শতক জমির পর্চা করতে ৬০হাজার টাকা চেয়েছে আমি ১৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি তাই আমার পর্চা দেয় নাই । তররা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার জমির পর্চার জন্য চল্লিশ হাজার টাকা চেয়েছিল আমি পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে পর্চা নিয়েছি।
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলার ৬ নং — ভাদুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাহান জানান,পর্চা পেতে টাকা ও হয়রানির বিষয় শুনেছি তবে লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা জনগনের সেবায় নিয়োজিত তাই জনগন তাদের দূর্দশার কথা বললে, আমাদের ছুটে যেতে হয়।
আমাদের ৫ নং –ইউনিয়ন এর সন্মানিত চেয়ারম্যান পাশাপাশি বড় ব্যবসায়ি সেটেলমেন্ট অফিসারকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে মামলার স্বীকার হয়েছেন । আমারা এ বিষয়ে হরিপুরের ইউপি চেয়ারম্যনরা ঐ অফিসার এর বিষয় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মহোদয় কে জানিয়েছি। ৪ নং –ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আলী জানান ,আমি সেটেলমেন্ট এর জমির পর্চার হয়রানির বিষয় শুনছি এ পর্চা কার্যক্রম আমাদের এখানে দূর্নীতি হচ্ছে ,