মোঃ সাইফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ; ভরা আমন ধান মৌসুমী চরম সার সংকটে পড়েছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও কৃষক চাষিরা । ডিলারদের গুদামে নেই সার । বিক্রি হচ্ছে অতি গোপনে । বস্তাপ্রতি ৮০০থেকে ৯৫০ পর্যন্ত অতিরিক্ত দামে (মূল্য রশিদ ছাড়াই) কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক চাষিরা । বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সদর সহ ইউনিয়নে বিসিআইসি ৮ ও বিএডিসির ২৫ লাইসেন্স প্রাপ্ত মোট ৩৩ জন ডিলার রয়েছে । এদের অধিকাংশ ডিলারের নেই কোন নিজস্ব অথবা ভাড়ায় চলতি গুদাম বা দোকান । কিছু সংখ্যক অসাধু সুবিধাবাদী বিসিআইসি ও বিএডিসি ডিলার তাদের লাইসেন্স বার্ষিক চুক্তিতে সাধারণ সার ও বীজ ব্যবসায়ীর নিকট দিয়ে রেখেছেন যুগের পর যুগ । বর্তমান সারের দাম নিয়ন্ত্রণ আর এ সবের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কর্মকর্তাগণ । বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেন, শাহজাহান, চারোল ইউনিয়নের ছোটসিংগিয়া গ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম, পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলগড়া গ্রামের তৌহিরুল ইসলাম জানান, সারের কৃত্রিম সংকট আর মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে সবএয় সারের কৃত্রিম সংকট । অস্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা । বিসিআইসি ও বিএডিসির লাইসেন্সধারী সার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সারের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে ভরা আমন ধান মৌসুমে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে । ৭৫০ টাকার( পটাশ সার) কিনতে হচ্ছে ১৮০০ টাকায় , বস্তাপ্রতি ৮শ থেকে ৯শ ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দামে যার ফলে আমাদের মতো হাজারো প্রান্তিক চাষিরা সার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে । একেতো জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি । যাকে বলে মড়ার উপর খাঁড়ার দা । বিএডিসি সার অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলা উপ–সহকারী পরিচালক আ, আহাদ জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৩৩ ডিলারের গত ১০ দিনের মোট সার বরাদ্দ টিএসপি –১৫৮, এমওপি–২৯৪ ও ডিএপি–১০৪ মেট্রিক টন । সে তুলনায় সার সংকট হবার কথা নয় । এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, যে সকল অসাধু সুবিধাবাদী সার ব্যবসায়ী সারের কৃত্রিম সংকট আর মূল্যবৃদ্ধি করে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন , ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থ জরিমানা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্ক করা হয়েছে ।