কুষ্টিয়ায় বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেপ্তার-৪
মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিএনপির ১৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকেও সে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সাজু মোহন সাহা। মামলা নম্বরটা ১৬। তবে এটিকে গায়েবি ও হয়রানিমূলক মামলা বলে অভিযোগ করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় সংলগ্ন নির্মানাধীন বিআরবি হাসপাতালের মেইন গেইটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের উপর ৪৫/৫০ জন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তার অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃংখল নেতা-কর্মীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্পদ ক্ষতি সাধন করিবার জন্য সমবেত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থানরত ৪৫/৫০ জন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃংখল নেতা-কর্মীরা দিক বিদিক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় চার আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ টি লম্বা বাশের লাঠি, তিনটি লোহার রড, ১৭ পিচ বিভিন্ন সাইজের ইটের টুকরা, এক লিটার পেট্রোল, একটি গ্যাস লাইট উদ্ধার করে পুলিশ। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে পুলিশ। বিএনপি নেতারা যখন মাঠে নামছে, তখনই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। গায়েবি মামলা দিয়ে চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের অপরাধ করেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।